সংক্ষিপ্ত
মরশুমের প্রথম ডার্বির রং লাল হলুদ। কিন্তু বাঙালির সেই ঐতিহাসিক ডার্বিতেই ফাঁকা থাকল গ্যালারি। কলকাতা লিগে চার বছর পর অনুষ্ঠিত হল বড় ম্যাচ।
মরশুমের প্রথম ডার্বির রং লাল হলুদ। কিন্তু বাঙালির সেই ঐতিহাসিক ডার্বিতেই ফাঁকা থাকল গ্যালারি। কলকাতা লিগে চার বছর পর অনুষ্ঠিত হল বড় ম্যাচ।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে কলকাতা ফুটবলের এই মেগা প্রতিযোগিতা এবার লিগে মোট ২৬টি দল অংশগ্রহণ করছে। দুটি গ্রুপে ভাগ করে খেলাগুলি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গ্রুপ এ-তে রয়েছে মহামেডান স্পোর্টিং, ডায়মন্ড হারবার এফসি, খিদিরপুর, বিএসএস স্পোর্টিং ক্লাব, কালীঘাট মিলন সংঘ, এরিয়ান, আর্মি রেড, নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘ, সাদার্ন সমিতি, মেসার্স ক্লাব, ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব, উয়াড়ি এবং পাঠচক্র।
অন্যদিকে, গ্রুপ বি-তে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, ভবানীপুর এফসি, পিয়ারলেস, ক্যালকাটা কাস্টমস, পুলিশ এসি, রেইনবো এফসি, কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশন, রেলওয়ে এফসি, জর্জ টেলিগ্রাফ, ক্যালকাটা পুলিশ ক্লাব, ইস্টার্ন রেলওয়ে, টালিগঞ্জঅগ্রগামী।
সেই গ্রুপ বি-র গুরুত্বপূর্ণ লড়াইতেই শনিবার, দুপুর ৩.১৫ মিনিটে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুখোমুখি হয় মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল (Mohun Bagan vs East Bengal)। বলা যেতে পারে, বাঙালির ঐতিহ্যের ডার্বি (Kolkata Derby)। সেই ম্যাচে ২-১ গোলে জয় পেল লাল হলুদ ব্রিগেড।
কিন্তু গোটা মাঠে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল খুবই নগণ্য। সাধারণত, ডার্বি ম্যাচে যে উচ্ছ্বাস চোখে পড়ে সেই তুলনায় অনেকটাই কম ছিল এদিনের ম্যাচে। শুধু তাই নয়, বড় ম্যাচে গ্যালারি থাকে কানায় কানায় পূর্ণ। কিন্তু শনিবারের ম্যাচে কার্যত ধু ধু করেছে দর্শকাসন। কিছু জায়গা ভর্তি ছিল। দুই দলের সমর্থকরাই এসেছিলেন। তবে গ্যালারির অধিকাংশ জায়গাই ছিল খালি।
যে ডার্বিকে বলা হয় বাঙালির ঐতিহ্যের ডার্বি, সেই বড় ম্যাচেই কিনা মাঠ পুরো খালি? বিদেশিহীন দুই দলেই খেলেন দেশের ছেলেরা। তাদের খেলা দেখতে গেলেন গুটিকয়েক দর্শক। ডার্বি ম্যাচে যুবভারতীর গ্যালারি কার্যত গমগম করে। কিন্তু এদিনের বড় ম্যাচে যেন অনেকটা নিস্প্রভ লাগল সল্টলেক স্টেডিয়ামকে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।