সংক্ষিপ্ত

কয়েক বছর আগে পর্যন্ত যে কোনও কলকাতা ডার্বির আগেই বলা হত ম্যাচ ৫০-৫০। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে এগিয়ে থেকেই খেলতে নামছে মোহনবাগান।

১৬৫৮ দিন কলকাতা ডার্বি অপরাজিত মোহনবাগান। ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি শেষবার কলকাতা ডার্বি জয়ের স্বাদ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেবারের আই লিগের ২টি ডার্বির রংই হয়েছিল লাল-হলুদ। প্রথম লেগে ৩-২ গোলে জয় পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয় লেগে জয় এসেছিল ২-০। তারপর থেকে জিতেই চলেছে মোহনবাগান। পরপর কলকাতা ডার্বি হেরে কোণঠাসা লাল-হলুদ। অবস্থা এমনই, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও এখন বুক ঠুকে বলতে পারছেন না, তাঁদের প্রিয় দল ডার্বি জিতবে। পিছিয়ে থেকেই শনিবার খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ দলের এই অবস্থা উপভোগ করছে সবুজ-মেরুন শিবির। ডার্বি খেলতে নামার আগে নিজেদের এগিয়েই রাখছেন হুয়ান ফেরান্দো, দিমিত্রিওস পেট্রাটসরা। মুখে অবশ্য তাঁরা বলছেন ইস্টবেঙ্গল শক্তিশালী দল, ইস্টবেঙ্গলকে সমীহ করছেন। কিন্তু ফের লাল-হলুদ রক্ষণ ফালাফালা করে দিতে তৈরি সবুজ-মেরুন স্ট্রাইকাররা।

ডার্বি খেলতে নামার আগের দিন মোহনবাগানের প্রধান কোচ ফেরান্দো বলেছেন, ‘এবার ইস্টবেঙ্গল বেশ কয়েকজন ভালো ফুটবলারকে দলে নিয়েছে। ওদের বিদেশি ফুটবলারদের পাশাপাশি ভারতীয় ফুটবলাররাও ভালো। এবার ইস্টবেঙ্গল দল বেশ ভালো। ওদের খাটো করে দেখছি না। ওরা দেরিতে অনুশীলন শুরু করেছে। ফলে তৈরি হতে সময় লাগবে। তবে কলকাতা ডার্বি সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সব দলই ডার্বি জিততে চায়। আমরাও ডার্বি জিততেই চাই।’

মোহনবাগানের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন দলের বেশিরভাগ ফুটবলারই এবারের দলেও আছেন। তাঁরা কলকাতা ডার্বির গুরুত্ব জানেন। পেট্রাটস, হুগো বুমোস, বিশাল কাইথ, শুভাশিস বসু, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংদের সঙ্গে এবার আছেন জেসন কামিংস, আর্মান্দো সাদিকুর মতো তারকারা। ফলে খাতায়-কলমে ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে এগিয়ে আছে মোহনবাগান। সে কথা মেনে নিচ্ছেন পেট্রাটস। এই অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার বলছেন, 'আমরা এগিয়ে আছি। অনেকেই আমাদের ফেভারিট হিসেবে দেখছে। তবে ডার্বিতে কী হবে, সেটা আগাম বলা সম্ভব নয়। ওরাও ডার্বি জেতার জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে নামবে। পেশাদার ফুটবলার হিসেবে আমাদের ডার্বির চাপ নিতে হবে।'

কলকাতা লিগ, ডুরান্ড কাপ একই সময়ে চলছে। তবে কলকাতা লিগে সম্পূর্ণ আলাদা দল নিয়ে খেলছে সবুজ-মেরুন। তবে ডুরান্ড কাপে যে ফুটবলাররা খেলছেন, তাঁরা এএফসি কাপেও খেলবেন। এবার আইএসএল-এর পাশাপাশি এএফসি কাপকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছে মোহনবাগান। এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়াই শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই তৈরি হচ্ছেন আনোয়ার আলি, গ্ল্যান মার্টিন্সরা।

আরও পড়ুন-

'মোহনবাগান আইএসএল চ্যাম্পিয়ন কিন্তু আমাদের দলেও ভালো ফুটবলার আছে', বার্তা ইস্টবেঙ্গল কোচের

মিলে গিয়েছিল শিবদাস ভাদুড়ির কথা, মোহনবাগানের দ্বিতীয় আইএফএ শিল্ড জয়ের বছরেই আসে স্বাধীনতা

অভিনব উদ্বোধন! ডুরান্ড কাপের ট্রফি নিয়ে ৬৫ তলা থেকে ঝাঁপ দুই সেনাকর্তার