সংক্ষিপ্ত
আর জি কর (RG Kar) কাণ্ডের জেরে কার্যত উত্তাল গোটা রাজ্য। প্রতিবাদে নেমেছে গোটা দেশ। এমনকি, ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ডাক্তাররাও। আর এরই মাঝে রয়েছে কলকাতা ডার্বি (Kolkata Derby)। ময়দানের সেই বড় ম্যাচ নিয়ে শনিবার, জরুরি বৈঠকে বসছে ডুরান্ড কমিটি এবং প্রশাসন।
আর জি কর (RG Kar) কাণ্ডের জেরে কার্যত উত্তাল গোটা রাজ্য। প্রতিবাদে নেমেছে গোটা দেশ। এমনকি, ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ডাক্তাররাও। আর এরই মাঝে রয়েছে কলকাতা ডার্বি (Kolkata Derby)। ময়দানের সেই বড় ম্যাচ নিয়ে শনিবার, জরুরি বৈঠকে বসছে ডুরান্ড কমিটি এবং প্রশাসন।
জানা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে ডুরান্ড কাপে ডার্বির ভবিষ্যৎ নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন ডুরান্ড কমিটির অফিশিয়াল এবং প্রশাসনের কর্তারা। শুধু তাই নয়, শনিবার দুপুরে নির্দিষ্ট সময়ে শুরুই হল না প্রি-ম্যাচ প্রেস কনফারেন্স। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকের পর বিকেলে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের কোচ ও অধিনায়কদের নিয়ে হতে পারে সাংবাদিক সম্মেলন।
অন্যদিকে, বাঙালির এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের লড়াইতেও উঠে আসতে পারে একতার ছাপ। কারণ, বহু সবুজ মেরুন এবং লাল হলুদ সমর্থক একযোগে দাবি তুলেছেন যে, এই ডার্বির মঞ্চ থেকেই আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে তারা প্রতিবাদ জানাবেন।
সোশ্যাল মিডিয়াতে এই নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়ে গেছে। মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের এই লড়াই হয়ত এবার আরও স্মরণীয় হয়ে উঠতে পারে। কারণ, দুটি দল ফুটবলের মাঠে টানা ৯০ মিনিট লড়াই করে। সবুজ মেরুন এবং লাল সমর্থকরা নিজেদের দলকে সমর্থন করতে গলা ফাটান। কেউ জেতে, কেউ আবার পরাজিত হয়।
কিন্তু এই ডার্বি অন্য ডার্বিগুলির থেকে অনেকটাই আলাদা। কারণ, মাত্র কয়েকদিন আগেই কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে (RG Kar Medical College & Hospital) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে। এই মুহূর্তে উত্তাল গোটা রাজ্য। শহরের বুকে ঘটে যাওয়া এই নৃশংস হত্যার তদন্তভার ইতিমধ্যেই হাতে নিয়েছে সিবিআই (CBI)।
কিন্তু এই পাশবিক ঘটনার বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে কার্যত, গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলনে নামেন মহিলারা। এমতাবস্থায় মোহনবাগান (Mohun Bagan) এবং ইস্টবেঙ্গল (East Bengal), দুই দলের বহু সমর্থক ঠিক করেন যে, ডার্বিতে নিজের দলের জয় তো চাইবেনই। কিন্তু একইসঙ্গে এই ডার্বির ভরা গ্যালারি থেকেই আর জি করে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ জানাবেন এবং বিচার চাইবেন তারা।
সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি স্লোগানও উঠে আসে, “দুই গ্যালারিতে একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আর জি কর।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।