সংক্ষিপ্ত
ইতিমধ্যেই লাজং এফসির কাছে ২-১ গোলে হেরে ডুরান্ড কাপ (Durand Cup) থেকে বিদায় নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। কিন্তু তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই রেফারির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করল লাল হলুদ।
ইতিমধ্যেই লাজং এফসির কাছে ২-১ গোলে হেরে ডুরান্ড কাপ (Durand Cup) থেকে বিদায় নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। কিন্তু তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই রেফারির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করল লাল হলুদ।
কার্যত, সেই ম্যাচের রেফারি কে.রামদাসনকে রীতিমতো কাঠগড়ায় তুলল তারা। ইস্টবেঙ্গল শিবিরের দাবি, দুটি নিশ্চিত পেনাল্টি রেফারি তাদের দেননি। প্রসঙ্গত, শিলংয়ে বুধবার আট মিনিটের মধ্যেই ম্যাচে লিড নেয় লাজং। যদিও খেলার ৭৭ মিনিটে, সমতা ফেরায় লাল হলুদ।
কিন্তু ম্যাচের ৮৪ মিনিটে, জয়সূচক গোল করে লাজংকে জয় এনে দেন ফিগো সিনদাই। আর এরপরেই অভিযোগ তুলেছে ইস্টবেঙ্গল। তাদের প্রথম অভিযোগ, নন্দ কুমারের ভাসিয়ে দেওয়া বলে হেড করার জন্য পেনাল্টি বক্সের মধ্যে দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস যখন লাফান, তখন তাঁকে পিছন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন লাজংয়ের ডিফেন্ডার রনি উইলসন।
আর দ্বিতীয় অভিযোগ হল, সল ক্রেসপোর শট পেনাল্টি বক্সের মধ্যে পরিষ্কার হাত দিয়ে আটকানো হয়। মূলত এই দুটি অভিযোগ তোলা হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে। বলা হচ্ছে, এই ন্যায্য পেনাল্টি না দেওয়ার ফলে ম্যাচের ফলাফলেও তার প্রভাব পড়েছে।
তাদের বক্তব্য, “রেফারি কর্তৃক এমন দুটো সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গেছে, যেগুলো খেলার ফলাফলের উপর ভীষণভাবে প্রভাব ফেলেছে। পূর্বে গুরুত্বপূর্ণ বহু ম্যাচে রেফারি কর্তৃক এইরকম সিদ্ধান্তের ফলেই আমাদের ভুগতে হয়েছে। ঠিক সেইরকম আগামী দিনেও কি সেটাই হতে চলেছে? আমাদের জানা নেইI”
সবমিলিয়ে, কোয়ার্টার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের হারের পরেই রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠে গেল প্রশ্ন। কিন্তু যেখানে বারবার ভারতীয় ফুটবলের মানকে উন্নত করার চেষ্টা চলছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ফের কি একবার রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ভুগতে হল লাল হলুদকে? উঠছে প্রশ্ন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।