সংক্ষিপ্ত
নতুন মরসুমের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দল। তবে মূল দল এখনও অনুশীলন শুরু করেনি। প্রধান কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত এখনও কলকাতায় এসে পৌঁছননি।
বার্সেলোনার প্রাক্তনী ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত ও সহকারী কোচ দিমাস দেলগাদো। নতুন মরসুমের জন্য কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁরা কলকাতায় চলে আসছেন। তার আগে বার্সেলসোনার প্রাক্তন ফুটবলারদের বার্ষিক ম্যাচে খেললেন কুয়াদ্রাত ও দিমাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি শেয়ার করেছেন কুয়াদ্রাত। তিনি লিখেছেন, ‘প্রাক-মরসুম অনুশীলনের জন্য ফিট হয়ে উঠছি। জোহান ক্রুয়েফ স্টেডিয়ামে বার্সেলোনার প্রাক্তন সতীর্থদের সঙ্গে গ্রীষ্মের ম্যাচ খেললাম। তারপর সবাই মিলে বার্ষিক নৈশভোজ সারলাম।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি দেখে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা উচ্ছ্বসিত। বিশেষ করে কুয়াদ্রাতের স্লাইডিং ট্যাকলের ছবি লাল-হলুদ জনতার মন জয় করে নিয়েছে। সবারই আশা, নতুন মরসুমে দলকে নিজের মতোই চনমনে করে তুলতে পারবেন কুয়াদ্রাত। গত মরসুমে তাঁর কোচিংয়ে একাধিকবার কলকাতা ডার্বিতে জয় পাওয়ার পাশাপাশি কলিঙ্গ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপে রানার্সও হয়েছে লাল-হলুদ। এবার আইএসএল-এ আরও ভালো ফলের লক্ষ্যে ইস্টবেঙ্গল শিবির।
আগামী সপ্তাহেই কলকাতায় কুয়াদ্রাত
গত মরসুমের আইএসএল শেষ হওয়ার পর ছুটি কাটাতে স্পেনে ফিরে যান কুয়াদ্রাত ও দিমাস। তবে তাঁরা সেখান থেকেই নতুন মরসুমের জন্য পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন। কুয়াদ্রাতের মতামত নিয়েই নতুন মরসুমের জন্য দল গড়ছে লাল-হলুদ। দিমিত্রিওস দিয়ামান্তাকস, মাদি তালালের মতো বিদেশি ফুটবলারদের নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এই ফুটবলারদের দলে পেয়ে খুশি কুয়াদ্রাত। তাঁর আশা, নতুন মরসুমে ভালো পারফরম্যান্স দেখাবে দল।
নতুন মরসুম নিয়ে আশাবাদী ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা
ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কোচ হওয়ার পর থেকেই সমর্থকদের আপনজন হয়ে উঠেছেন কুয়াদ্রাত। তাঁকে গালিগালাজ করার বদলে শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। তাঁদের আশা, নতুন মরসুমে আইএসএল-এ ভালো পারফরম্যান্স দেখাবে ইস্টবেঙ্গল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
East Bengal: নতুন মরসুমেও ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ক্লেইটন, সহকারী মহেশ
Madih Talal: 'মাঝমাঠের রাজা' থাকতে চিন্তা কী! নতুন স্বপ্নে বুঁদ ইস্টবেঙ্গল
East Bengal: 'সি ফর ক্লেইটন,' অধিনায়ককে আরও এক বছরের জন্য ধরে রাখল ইস্টবেঙ্গল