সংক্ষিপ্ত
আগেও দু'বার বিশ্বকাপের ময়দানে ডাচদের হারিয়েছিল নীল-সাদা বাহিনী। অন্যদিকে আর্জেন্টিনাকেও দুবার পরাস্ত করার রেকর্ড আছে ডাচ বাহিনীর। এবারের বিশ্বকাপেও যথেষ্ঠ ফর্মে নেদারল্যান্ডস।
ইতিহাসের পাতায় আরও এক নতুন অধ্যায় জুড়তে চলেছে। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা নেদারল্যান্ডস। ২৪ বছর পর ফের একটা কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে দুই দল। শেষ সাক্ষাৎ ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে। সেবার টাইব্রেকারে জয় পেয়েছিলেন লিওনেল মেসিরা। তাঁর আগেও দু'বার বিশ্বকাপের ময়দানে ডাচদের হারিয়েছিল নীল-সাদা বাহিনী। অন্যদিকে আর্জেন্টিনাকেও দুবার পরাস্ত করার রেকর্ড আছে ডাচ বাহিনীর। এবারের বিশ্বকাপেও যথেষ্ঠ ফর্মে নেদারল্যান্ডস।
এবারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাচ হারেনি নেদারল্যান্ডস। ভার্জিল ভ্যান ডাইক, কডি গাকপো, মেমফিস ডিপেরা বেশ ভাল ফর্মে। ডেনজিল ডামফ্রাইজ, ডেলে ব্লাইন্ডরাও তৈরি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৯ ম্যাচ অপরাজিত ডাচরা। সেই কারণে বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে ওঠার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ডাচ কোচ লুই ভ্যান গাল। অন্যদিকে সৌদি আরবের কাছে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে হারের পর, পরের ম্যাচ থেকেই নিজেদের জাত চিনিয়েছে মেসিরা। এখন পর্যন্ত গ্রুপ পর্ব ও প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা সুলভ ফুটবলই খেলেছেন মেসিরা। ডাচদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেও যথেষ্ঠ আত্মবিশ্বাসী আর্জেন্টিনা।
সাল ১৯৭৪, প্রথমবার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৪-০ গোলে হারে আর্জেন্টিনা। তারপর দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই দল, সাল ১৯৭৮। এই ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। তারপরে ১৯৯৮ সালে ফের মুখোমুখি হয় দুই দল। এই ম্যাচে ফের নেদারল্যান্ডসের কাছে হার হয় আর্জেন্টিনার। নীল সাদা জার্সিধারীদের ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছয় নেদারল্যান্ডস। ২০০৬ সালে ফের আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। এই ম্যাচে গোলশূন্য ড্র হয়। তারপর ২০১৪ সালে ফের সামনাসামনি দুই দল। টাইব্রেকারে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল আর্জেন্টিনা। এবার ২০২২ সালে ফের একবার কোয়ার্টার ফাইনালে এই দুই দল। এখন দেখার ইতিহাস পালটে দিয়ে সেমি ফাইনালে কি পৌঁছতে পারবে আর্জেন্টিনা?