সংক্ষিপ্ত

নেইমার,ডানিলো ফিরলেও কোয়ার্টার ফাইনালে অনিশ্চিত ব্রাজিলের নির্ভরযোগ্য লেফট ব্যাক অ্যালেক্স সান্ড্রো। চোটের কারণে এই ম্যাচেও সান্ড্রোর খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সান্ড্রোর অনুপস্থিতিই চিন্তায় ফেলছে তিতেকে।

কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি ব্রাজিল। দক্ষিণ কোরিয়ার তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া। তবে জয়ের বিষয় যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী তিতের দল। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে চোট সারিয়ে ফিরেছেন নেইমার। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে গোলও করেছেন তিনি। নেইমারের এই ফর্ম অনেকটাই নিশ্চিন্ত করছে তিতেকে। পাশাপাশি ডানিলোর ফিট হয়ে ফেরাও কোয়ার্টার ফাইনালের আগে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে দলকে। তবে নেইমার,ডানিলো ফিরলেও কোয়ার্টার ফাইনালে অনিশ্চিত ব্রাজিলের নির্ভরযোগ্য লেফট ব্যাক অ্যালেক্স সান্ড্রো। চোটের কারণে এই ম্যাচেও সান্ড্রোর খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সান্ড্রোর অনুপস্থিতিই চিন্তায় ফেলছে তিতেকে।

তবে কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য প্রস্তুত দুই দলই।এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে ২ বার মুখোমুখি হয়েছে এই ২ দল। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল ব্রাজিল। এরপর ২০১৪ সালে নিজেদের দেশে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে লুকা মডরিচদের ৩-১ গোলে উড়িয়ে দেন নেইমাররা। এইবারও ক্রোয়েশিয়ার মোকাবিলা করতে ব্রাজিলের মূল হাতিয়ার হবেন নেইমারই। পাশাপাশি ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রিচার্লিসন এবং লুকাস পাকেতারের সামনে ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে টিকে থাকা খুব সহজ হবে না। তবে মাঠে নামার আগে হাল ছাড়তে নারাজ ক্রোয়েশিয়া। নিজের দলের রক্ষণ সামলাতে ইতিমধ্যেই ঘুটি সাজিয়েছেন জ্লাটকো ডালিক। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে আন্দ্রেজ ক্রামারিক ক্রোয়েশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হবে।

দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে ব্রাজিল। এই ম্যাচে অবশেষে খেলতে দেখা গেল নেইমারকে। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নেইমার জানান,'রাতের পর কেঁদেছি। আমার যা যা জানাছিল সমস্ত চেষ্টা করেছি। অবসশেষে তাঁর দাম পেয়েছি। প্রত্যেকদিন ভোর ৫-৬ পর্যন্ত ফিজিওথেরাপি চলত। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে নামার দিনও বেলা ১১ টা পর্যন্ত ফিজিওথেরাপি চলেছে।' তিনি আরও বলেন,'খুবই ভয় ছিলাম। চোট পাওয়ার পর এতগুলো দিন পড়ে ফিরছি। আমি যখন আঘাত পেলাম সেই সময় অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল, ভয়, সন্দেহ, অনিশ্চিয়তা। কিন্তু আমার পরিবার ও সতীর্থদের কাছ থেকে যে সাহায্য পেয়েছি তা বলে বোঝানো যায়না। প্রত্যেকদিন সমর্থকরা শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। এগুলোই আমাকে শক্তি দিয়েছে। এবার এই বিশ্বকাপে দলকে জেতাতে আমি আমার প্রাণ দিয়ে খেলব। এটাই আমার লক্ষ্য।'

আরও পড়ুন - 

নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জয় পেতে আত্মবিশ্বাসী দল, জানালেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার

কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই ফের ইংল্যান্ডে দলে যোগ দিচ্ছেন রাহিম স্টার্লিং

কোয়ার্টার ফাইনালে রক্ষণাত্মক হয়ে যাবে ইংল্যান্ড, মনে করেন এই ফরাসি মিডফিল্ডার