সংক্ষিপ্ত

১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপে খেলেছিল ১৩টি দল। ঠিক ১০০ বছর পরের বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা প্রায় পাঁচ গুন বাড়তে পারে। ফিফা এমনই পরিকল্পনা করছে।

২০৩০ সালের বিশ্বকাপে ৬৪টি দলকে খেলার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে ফিফা। উরুগুয়ের ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট ইগনাচিও আলোনসো এই প্রস্তাব দিয়েছেন। ফিফা কাউন্সিলের বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠকে ২০৩০ সালের বিশ্বকাপে দল বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো আগ্রহ দেখিয়েছেন। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে ৩২ দলের বদলে ৪৮টি দল অংশ নেবে। মেক্সিকো, কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বিশ্বকাপের আয়োজক। দল বেড়ে যাওয়ার ফলে ম্যাচের সংখ্যা ৬৪ থেকে বেড়ে হবে ১০৪টি। ফিফা প্রেসিডেন্ট বিশ্বকাপের ফর্ম্যাটে বদল এনেছেন। যদিও প্রতি দুই বছর অন্তর বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব সমালোচিত হওয়ার পর বাতিল করা হয়েছে।

বিশ্বকাপে দল বাড়ানো নিয়ে সমস্যা

১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপে মাত্র ১৩টি দল যোগ দিয়েছিল। পরে ধাপে ধাপে দল সংখ্যা বাড়ানো হয়। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত ২৪ দলের প্রতিযোগিতা ছিল। ১৯৯৮ সাল থেকে দল সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ৩২। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে যোগ দিচ্ছে ৪৮ দেশ। এরপর ২০৩০ সালের বিশ্বকাপে ৬৪টি দল যোগ দিলে ফিফার ২১১টি সদস্য দেশের মধ্যে এক-চতুর্থাংশের বেশি দল বিশ্বকাপে যোগ দেবে। যা বিশ্বকাপ আয়োজনের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ তিনটি দেশ মিলিয়ে হওয়ার কথা। ফলে যে দেশগুলি এই বিশ্বকাপে খেলবে, তাদের ভিন্ন আবহাওয়া, পরিবেশ-পরিস্থিতিতে খেলতে হবে। ফলে ফুটবলারদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়তে পারে।

বিশ্বকাপের ঐতিহ্য ভাঙছে!

ফিফা প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে সুপার বোলের মতো হাফ-টাইম শো হবে। যা বিশ্বকাপের ঐতিহ্যের বাইরে। ফিফা প্রেসিডেন্ট বিশ্বকাপের ফর্ম্যাটকে আধুনিক করতে এবং আরও বেশি দর্শকের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে চান। ফিফা জানিয়েছে, তারা ৬৪ দলের বিশ্বকাপের প্রস্তাব বিবেচনা করবে। ফিফা কাউন্সিলের সদস্যদের থেকে আসা যে কোনও প্রস্তাব বিবেচনা করা ফিফার কর্তব্য। আশা করা যায়, কয়েক মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।