সংক্ষিপ্ত

কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক চলছে। আর কয়েকদিন বাদেই শুরু হচ্ছে এই প্রতিযোগিতা। তার আগেও বিতর্ক থামছে না।

 

কাতার সরকার আগেই ঘোষণা করেছে, এবারের বিশ্বকাপে প্রকাশ্যে সমকামিতা সংক্রান্ত কোনও আচরণ করা যাবে না। অনেকেই এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করলেও কাতার সরকার সিদ্ধান্ত বদল করেনি। এরই মধ্যে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার মুখে প্রকাশ্য সমকামিতা নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বিশ্বকাপের দূত। কাতারের প্রাক্তন ফুটবলার খালিদ সলমন ও জার্মানির একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় কাতার বিশ্বকাপের দূত বলেন, 'ইসলামে সমকামিতা নিষিদ্ধ। কাতারের আইন অনুসারে সমকামিতা নিষিদ্ধ। কাতারে পর্যটকদের স্বাগত, কিন্তু তাঁদের অবশ্যই কাতারের আইন মেনে চলতে হবে। শিশুরা যাতে খারাপ কিছু শিখে না যায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সমকামিতা হল মস্তিষ্কের গোলমাল।' কাতারের বিশ্বকাপ দূত সমকামিতা নিয়ে এই মন্তব্য করার পরেই বিতর্ক থামাতে আসরে নামেন বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির এক মিডিয়া অফিসার। তিনি এই সাংবাদিক বৈঠক থামিয়ে দেন। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামছে না। অনেকেই কাতারের বিশ্বকাপ দূতের এই মন্তব্যের সমালোচনা করছেন।

কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক চলছে। এরপর শ্রমিকদের ঠিকমতো বেতন না দেওয়া, তাঁদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগ ওঠে। কাতার সরকার অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিশ্বকাপ চলাকালীন দর্শকদের সুযোগ-সুবিধা, অধিকার নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে। এরই মধ্যে বিতর্কে জডিয়েছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যাম। তিনি পর্যটন সংক্রান্ত একটি ভিডিওতে কাতার সরকারের প্রশংসা করেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলি বেকহ্যামের সমালোচনা করছেন।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবারের বিশ্বকাপ চলাকালীন স্টেডিয়ামগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। অনেকেই এই ব্যবস্থার বিরোধিতা করছেন। দর্শকদের দাবি, কাতার বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলি ছোট। আরও বড় স্টেডিয়াম করা উচিত ছিল। তাহলে আরও বেশি দর্শক বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখার সুযোগ পেতেন। প্রতিবারই বিশ্বকাপের সময় ফ্যান জোন থাকে। সেখানে দর্শকরা যেমন একসঙ্গে বসে ম্যাচ দেখেন, তেমনই প্রিয় দল জিতলে আনন্দে মেতে ওঠেন। কিন্তু কাতারে এবার দর্শকরা কতটা অধিকার পাবেন, সেটা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করছেন।

তবে এই বিতর্কের মধ্যেই ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে বিশ্বকাপ। এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করে বিপুল রাজস্ব আদায় করা যাবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। বিশ্বকাপের ম্যাচগুলির ৩০ লক্ষ টিকিট বিক্রি করেছে ফিফা। সম্প্রচার স্বত্ব বাবদ বিপুল অর্থ পাচ্ছে ফিফা। এছাড়া মার্কেটিং, হসপিটালিটি, লাইসেন্সিং স্বত্ব বাবদএ বিপুল অর্থ পাচ্ছে ফিফা। ফলে বিশ্বকাপ সফল হবে বলেই মনে করছেন ফিফা কর্তারা।

আরও পড়ুন-

ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছেন, বিস্ফোরক ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো

কাতারে অন্তত ৫ গোল করাই লক্ষ্য, বিশ্বকাপ শুরুর আগে জানালেন নেইমার

কলকাতা ডার্বি চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক সমর্থকের