সংক্ষিপ্ত

প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ১-৪ গোলে হেরে গেলেও, কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে টিউনিশিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়াল অস্ট্রেলিয়া। সকারুজদের এখনও বিশ্বকাপের নক-আউটে যাওয়ার আশা আছে।

ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে হারের ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াল অস্ট্রেলিয়া। শনিবার টিউনিশিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল সকারুজরা। ম্যাচের ২৩ মিনিটে অসাধারণ হেডে একমাত্র গোল করেন মিচেল ডিউক। এই গোলটাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিল। টিউনিশিয়া গোল শোধ করার অনেক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের পক্ষে ম্যাচে সমতা ফেরানো সম্ভব হয়নি। অস্ট্রেলিয়াও আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। তবে ১-০ গোলে জিতেই যে ৩ পয়েন্ট পেল অস্ট্রেলিয়া, সেটা নক-আউটের যোগ্যতা অর্জন করার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। ১৯৭৪ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপে কোনও ম্যাচ গোল না খেয়ে শেষ করল অস্ট্রেলিয়া। এবারের বিশ্বকাপের ৫০-তম গোল করলেন ডিউক। ৩০ নভেম্বর গ্রুপ ডি-র শেষ ম্যাচে ডেনমার্কের মুখোমুখি হবে সকারুজরা। সেই ম্যাচ জিতলেই নক-আউটে চলে যেতে পারে সকারুজরা। ফলে সেই ম্যাচও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে তার আগে এদিন জয় পাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস নিঃসন্দেহে বাড়বে। এবারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত খুব একটা ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি ডেনমার্ক। অস্ট্রেলিয়া এখন চাইবে, এদিন রাতে ডেনমার্ককে হারিয়ে দিক ফ্রান্স। তাহলে অস্ট্রেলিয়ার সুবিধা হবে।

এদিন টিউনিশিয়ার বিরুদ্ধে জয় পেলেও, মাঝেমধ্যেই কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় সকারুজদের। ২০ মিনিটে টিউনিশিয়ার নইম স্লিতি বক্সের মধ্যে সতীর্থ ইউসিফ মাকনিকে বল বাড়ান। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্ডাররা কোনওমতে সেই আক্রমণ সামাল দেন। পরের মিনিটেই মহম্মদ দ্রাগারের শট বারে লেগে ফিরে আসে। সেই সময় মনে হচ্ছিল, টিউনিশিয়াই হয়তো গোল পেয়ে যাবে। কিন্তু ২৩ মিনিটে ডিউকের গোল ম্যাচের রং বদলে দেয়। ক্রেগ গুডউইনের হেড টিউনিশিয়ার এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে উঁচু হয়ে বক্সে আসে। অনেকটা লাফিয়ে উঠে অসাধারণ ভঙ্গিতে সেই বলে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন ডিউক।

দলকে জেতানোর পর ডিউক বলেছেন, 'এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। আমাদের দলের এই ম্যাচ জেতা দরকার ছিল। সেই ম্যাচে গোল করে দলকে জেতাতে পেরে খুব আনন্দ হচ্ছে। সমর্থকদের জন্য আমি খুব খুশি। ওঁদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই আমরা খেলি।'

পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে সমতা ফেরানোর অনেক চেষ্টা করে টিউনিশিয়া। প্রথমার্ধের শেষদিকে স্লিতির লো ক্রস থেকে সহজ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন মাকনি। কিন্তু তাঁর শট বাইরে চলে যায়। ৭৫ মিনিটে আরও একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মাকনি। ৮৯ মিনিটে আরও একটি সুযোগ নষ্ট করেন পরিবর্ত ফুটবলার ওয়াহাবি খাজরি।

আরও পড়ুন-

বিশ্বকাপের দৌড় থেকে বিদায় কাতারের, ওয়েলশকে হারিয়ে নক-আউটের আশায় ইরান

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ধাক্কা, আমেরিকার কাছে আটকে গেল ইংল্যান্ড

হিজাব-বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন, দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে গ্রেফতার ইরানের ফুটবলার