সংক্ষিপ্ত
কাতার বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের কাছে ১-৬ গোলে হেরে গিয়েছে সুইৎজারল্যান্ড। এই হার নিয়ে শুরু হয়েছে পর্যালোচনা।
এবারের বিশ্বকাপ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন সুইৎজারল্যান্ডের কয়েকজন ফুটবলার। টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাঁদের জ্বর, সর্দি-কাশি হয়েছে। কিন্তু ইউরোপের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সুইৎজারল্যান্ডের কয়েকজন ফুটবলার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার ফলেই দুর্বল হয়ে পড়ে দল। কিন্তু সুইৎজারল্যান্ড দলের পক্ষ থেকে এই খবর অস্বীকার করা হয়েছে। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে সুইৎজারল্যান্ডের স্পোর্টস ডিরেক্টর পিয়েরলুইগি ট্যামি দাবি করেছেন, 'আমাদের ফুটবলারদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমাদের দল যে হোটেলে ছিল, সেখানে একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের দলের সব ফুটবলার নয়, কয়েকজন সেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। আমরা এই ভাইরাসের সমস্যার বিষয়ে অবগত ছিলাম। দলের সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর আর সেই ভাইরাস সংক্রান্ত সমস্যা ছিল না। ভবিষ্যতে যাতে আমরা আরও ভালভাবে এই বিষয়গুলির মোকাবিলা করতে পারি, সেই চেষ্টা করব।'
মঙ্গলবার পর্তুগালের কাছে হারের পর সুইৎজারল্যান্ডের কোচ মারাত ইয়াকিন জানান, 'সিলভান উইডমারের জ্বর ও সর্দি-কাশি সংক্রান্ত উপসর্গ রয়েছে। প্রথমার্ধের শেষে ফ্যাবিয়ান শারকে তুলে নেওয়া হয়। কারণ, ওর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। নিকো এলভেডি ১০০ শতাংশ ফিট ছিল না। সেই কারণে ওকে মাঠে নামানো সম্ভব হয়নি।'
সুইস কোচ আরও বলেছেন, 'আমাদের দলের ফিটনেস সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলার অসুস্থ হয়ে পড়ে। দলের সবাই ১০০ শতাংশ ফিট ছিল না। আমাদের প্রতিপক্ষ দলও শক্তিশালী ছিল। সেই কারণেই আমরা হেরে গিয়েছি। গ্রুপের ৩ ম্যাচে আমাদের ফুটবলাররা সব শক্তি উজাড় করে দেয়। তার ফলেই প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গিয়েছি আমরা।'
পর্তুগালের কাছে ১-৬ গোলে হেরে গিয়েছে সুইসরা। হ্যাটট্রিক করেছেন গনসালো র্যামোস। ১টি করে গোল করেন পেপে, রাফায়েল গুরেইরো ও রাফায়েল লিয়াও। সুইৎজারল্যান্ডের হয়ে একমাত্র গোল করেন ম্যানুয়েল আকাঞ্জি। এই ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে পর্তুগাল। কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগিজদের প্রতিপক্ষ মরক্কো।
এবারের বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে বিভিন্ন দলের ফুটবলাররা চোট পান। বিশেষ করে ফ্রান্সের প্রথমসারির কয়েকজন ফুটবলার চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন। ব্রাজিলও চোট-আঘাতে ভুগছে। কিন্তু কোনও দলের ফুটবলারদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা যায়নি। সুইস দলেই করোনা সংক্রমণের কথা জানা গেল।
আরও পড়ুন-
সৌদি আরবের ক্লাব আল-নাসরে যোগ দেওয়ার খবর অস্বীকার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর
মডরিচের কাছ থেকে অনেককিছু শিখেছি, ওর বিরুদ্ধে খেলতে ভাল লাগবে, বলছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র
প্রথম একাদশ থেকে বাদ রোনাল্ডো, প্রথম সুযোগেই হ্যাটট্রিক গনসালো র্যামোসের