সংক্ষিপ্ত

কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্যামেরুনকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল সুইৎজারল্যান্ড। হাকান শাকিরিরা ভাল খেলে জয় পেলেন। ক্যামেরুনের ফুটবলাররা লড়াই করলেন বটে, কিন্তু তাঁরা গোলমুখে খেই হারিয়ে ফেললেন।

৪৮ মিনিটে ব্রিল এমবোলোর করা একমাত্র গোলে কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্যামেরুনকে হারিয়ে দিল জার্দান শাকিরির সুইৎজারল্যান্ড। এদিন ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে ক্যামেরুনের কিংবদন্তি রজার মিল্লাকে সম্মান জানান ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্টিনো। ক্যামেরুনের সেরা ফুটবলারদের অন্যতম স্যামুয়েল এটোকেও গ্যালারিতে দেখা গেল। কিন্তু এই দুই প্রাক্তন ফুটবলারকে সামনে দেখেও নিজেদের উজ্জীবিত করতে পারলেন না কার্ল-টোকো একাম্বি, ব্রায়ান এমবিউমোরা। ক্যামেরুনের আক্রমণে গতির দেখা পাওয়া গেল না। বক্সের বাইরে গিয়েই যাবতীয় আক্রমণ শেষ হয়ে যাচ্ছিল। ক্যামেরুনের স্ট্রাইকাররা বেশিরভাগ সময়ই একা পড়ে যাচ্ছিলেন। তাঁরা শট নিতেও দেরি করছিলেন। তার ফলেই বারবার আক্রমণ করেও গোল পেলেন না। অন্যদিকে, শাকিরিরাও বারবার আক্রমণ করছিলেন। কিন্তু তাঁরাও গোলখরায় ভুগলেন। ফলে এই ম্যাচ দর্শকদের খুব বেশি আনন্দ দিতে পারল না। আগামী সোমবার গ্রুপ জি-তে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে সুইৎজারল্যান্ড। তার আগে এই ৩ পয়েন্ট শাকিরিদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।

এদিনের ম্যাচের শুরুতে ক্যামেরুনেরই দাপট ছিল। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখানো এরিক ম্যাক্সিম চাউপো-মটিংয়ের দিকে তাকিয়েছিল ক্যামেরুন শিবির। কিন্তু তিনি একাধিক সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারলেন না। সুইসরাও সুযোগ কাজে লাগাতে পারছিল না। ফলে প্রথামর্ধের খেলা গোলশূন্যভাবে শেষ হয়। ৪৮ মিনিটে গোল করে সুইসদের এগিয়ে দেন এমবোলো। এই গোলই ম্যাচের ফল গড়ে দিল। ক্যামেরুন অনেক চেষ্টা করেও ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারল না। সুইসদের পক্ষেও ব্যবধান বাড়ানো সম্ভব হল না।

এদিন যাঁর গোলে ক্যামেরুন হেরে গেল, সেই এমবোলোর জন্ম ক্যামেরুনেই। ২৫ বছর বয়সি এই স্ট্রাইকারের যখন ৫ বছর বয়স, তখন তাঁরা বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর মায়ের সঙ্গে ফ্রান্সে চলে যান এমবোলো। এরপর তাঁর মায়ের সঙ্গে সুইৎজারল্যান্ডের এক নাগরিকের আলাপ হয়। সেই ব্যক্তিকে বিয়ে করেন এমবোলোর মা। এরপর তাঁরা বাসেলে চলে যান। ২০১৪ সালে সুইৎজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব পান এমবোলো। তার আগে থাকতেই অবশ্য তিনি বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলা শুরু করেন। ২০১৫ সালে প্রথমবার সিনিয়র দলে সুযোগ পান। এখনও পর্যন্ত সুইৎজারল্যান্ডের সিনিয়র দলের হয়ে ৬০ ম্যাচ খেলে তিনি ১২ গোল করেছেন। জাতীয় দলের হয়ে অন্যতম স্মরণীয় গোল এদিনের ম্যাচেই করলেন এই ফুটবলার। তাঁর জন্যই জয় দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে পারল সুইসরা।

আরও পড়ুন-

একটা হারে পৃথিবী বদলে যায়নি, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিততেই পারে, বলছেন নাদাল

লক্ষ্য ষষ্ঠ বিশ্বকাপ, বৃহস্পতিবার অভিযান শুরু ব্রাজিলের, মাঠে নামছেন রোনাল্ডোরাও

পেনাল্টি নষ্ট আলফন্সো ডেভিসের, বেলজিয়ামের কাছে ১-০ গোলে হার কানাডার