সংক্ষিপ্ত
‘মোহনবাগান রত্ন’ সম্মানে ভূষিত হলেন প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর তারপর তাঁর মুখে শোনা গেল ফুটবল প্রেমের কথা।
‘মোহনবাগান রত্ন’ সম্মানে ভূষিত হলেন প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর তারপর তাঁর মুখে শোনা গেল ফুটবল প্রেমের কথা।
উল্লেখ্য, আজ অর্থাৎ ২৯ জুলাই হল মোহনবাগান দিবস। আর সেইদিনই ক্লাব তাঁবুতে ‘মোহনবাগান রত্ন’ হিসেবে সম্মানিত হলেন মহারাজ। সেইসঙ্গে, তাঁকে ক্লাবের তরফ থেকে চেকও তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই চেক তিনি মোহনবাগান ক্লাবকে ফিরিয়ে দিয়ে জানান যে, সেই অর্থ যেন ক্লাবের ইউথ ডেভেলপমেন্টের জন্য ব্যয় করা হয়। আবারও যেন উদাহরণ তৈরি করলেন সৌরভ।
আর এই সম্মান পেয়ে সৌরভ বললেন, “গোটা পৃথিবীর মানুষ মোহনবাগান ক্লাবকে চেনেন। আজ ২৯ জুলাই একটি ঐতিহাসিক দিন। তবে আমি মোহনবাগান ক্লাবকে শুধুমাত্র ১৯১১ সাল দিয়ে বিচার করতে চাই না। এই মোহনবাগান ক্লাবে বিভিন্ন সময়ে বহু রত্ন খেলে গেছেন। তাদের জন্যই মোহনবাগান আজ এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছে। আসলে মোহনবাগান রত্নের সংখ্যা এতই বেশি যে, আলাদা করে আর রত্ন খোঁজার জন্য পরিশ্রম করতে হয় না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “তাই আজ হয়ত আমার সময়। আগামীতে বহু কৃতি মানুষ এই মঞ্চে উঠবেন বলেই আমি বিশ্বাস করি। তবে শুধু জিতলেই হবে না। স্ট্যান্ডার্ডটাও কিন্তু দেখতে হবে। কারণ, ময়দান হল হার্টবিট। তাই ময়দানে খেলার ক্ষেত্রে সততা যেন সবসময় বজায় থাকে।”
অন্যদিকে, সেরা ফুটবলারের সম্মান পেয়েছেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। যদিও তিনি অবশ্য ভিসা না পাওয়ার কারণে, শহরে এসে পৌঁছতে পারেননি। এছাড়াও সেরা ফরোয়ার্ডের সম্মান পান মনবীর সিং। সেরা জুনিয়র ফুটবলার হিসেবে সম্মানিত করা হয় সুহেইল ভাটকে। সেরা ক্রিকেটার হিসেবে সম্মান জানানো হয় অভিলীন ঘোষকে। আর সেরা সমর্থক বাপি মাজি এবং অজয় পাসওয়ান।
সেইসঙ্গে, সেরা সাংবাদিক সম্মানে ভূষিত হন দেবাশিস দত্ত। অন্যদিকে, সেরা কর্মকর্তা হন সৌরভ পাল এবং সেরা রেফারির পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় দিলীপ সেনের হাতে। লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট সম্মানে ভূষিত হন প্রয়াত প্রাক্তন মোহনবাগান অধিনায়ক বিমল মুখোপাধ্যায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।