সংক্ষিপ্ত
ভারতীয় ফুটবল দলের (Indian Football Team) কোচের পদ থেকে ছাঁটাই হতেই বিস্ফোরক ইগোর স্টিমাচ (Igor Stimac)। তিনি নাকি অনেক আগেই চাকরি ছাড়তে চেয়েছিলেন। আর আইএসএল (Indian Super League) আসলে কোনও লিগই নয়, অভিযোগ করলেন স্টিমাচ।
ভারতীয় ফুটবল দলের (Indian Football Team) কোচের পদ থেকে ছাঁটাই হতেই বিস্ফোরক ইগোর স্টিমাচ (Igor Stimac)। তিনি নাকি অনেক আগেই চাকরি ছাড়তে চেয়েছিলেন। আর আইএসএল (Indian Super League) আসলে কোনও লিগই নয়, অভিযোগ করলেন স্টিমাচ।
বোমা ফাটালেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন কোচ ইগোর স্টিমাচ। শুক্রবার, একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (All India Football Federation) কর্তাদের ওপর কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন।
তিনি বলেন, “আমি তো আগেই চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম সরে যাবো। কিন্তু তখন আমাকে ফেডারেশন কর্তারা থেকে যাওয়ার কথা বলেন। তবে সাজি প্রভাকরণকে (Shaji Prabhakaran) সরিয়ে দিয়ে ফুটবল হাউস ঠিক কাজ করেনি।”
স্টিমাচ আরও যোগ করেন, “সাজি চেষ্টা করছিল। এখন যারা ফেডারেশনের ক্ষমতায় রয়েছে, তারা সকলেই নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যস্ত। শুধু নিজেদের চেয়ার আগলাতে আগ্রহী। ভারতীয় দলের স্বার্থ তাদের কাছে ন্যূনতম প্রাধান্য পায় না। টেকনিক্যাল কমিটিও (Technical Committee) কোনও কাজের নয়। একমাত্র আইএম বিজয়ন (I.M Vijayan) আন্তরিকতা দেখিয়ে কাজ করেন।”
তাঁর মতে, “আইএসএল (ISL) কোনও প্রতিযোগিতাই নয়। এত দিন ধরে একটা টুর্নামেন্ট চলছে, কিন্তু কোনও অবনমন নেই। দেশের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রতিযোগিতা কেন কর্পোরেট সংস্থা চালাবে? এই প্রতিযোগিতা ফেডারেশনের আয়োজন করা উচিৎ। ওদের কাজটা কী আসলে? পৃথিবীর কোনও দেশে এভাবে ফুটবল হয় না। একমাত্র ভারতে হয়। একটা ক্লাব নাকি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে না পারলে খেলতে পারবে না। তাদের সাফল্যের কোনও গুরুত্বই নেই? এরকম হয় নাকি? ফুটবলাররা ভালো খেলার উৎসাহ পাবে কীভাবে? বিদেশি ফুটবলারদের ওপর নির্ভর করে ম্যাচ খেলছে দলগুলি। এই পদ্ধতিতে কোনওভাবেই দেশের ফুটবলের সম্ভব নয়।”
স্টিমাচ কার্যত ক্ষোভের সুরে বলেন, “গত বছর ২৬ জুলাই ফেডারেশনকে লিখিত ভাবে জানিয়েছিলাম ভারতীয় দলের পরিস্থিতির কথা। সম্ভাবনা কোথায় কোথায় আছে তাও জানিয়েছিলাম। কী কী করা উচিত বলেছিলাম। কিন্তু ৬ সপ্তাহ অপেক্ষা করেও কোনও উত্তর পাইনি। জানি না এআইএফএফ আদৌ ভারতীয় ফুটবল নিয়ে আদৌ কতটা আন্তরিক।”
তাঁর কথায়, “গত বছর কিংস কাপ (Kings Cup), মারডেকা কাপ (Mardeka Cup) এবং কাতার ম্যাচে (Qatar Match) আমাদের সঙ্গে পুরো ডাকাতি করা হয়েছে। এত জঘন্য রেফারিং আন্তর্জাতিক ফুটবলে একদমই আশা করা যায় না। কিন্তু জাতীয় দলের স্বার্থে এআইএফএফ কিছুই করেনি। ফেডারেশন ফুটবলারদের রক্ষা না করলে কে করবে? আমি নিজে ছেলেদের পাশে দাঁড়িয়ে লাল কার্ড দেখেছি। ছেলেদের রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ফেডারেশন কর্তারা (AIFF Officials) কিছুই শেখেননি।”
সবমিলিয়ে, পরিস্থিতি একেবারে টালমাটাল। বলা চলে, দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন সুনীলদের প্রাক্তন কোচ ইগোর স্টিমাচ।
আরও পড়ুনঃ
যুবভারতীতে উড়বে লাল হলুদ নিশান? এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নামছে ইস্টবেঙ্গল
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।