সংক্ষিপ্ত
মাঝে আর মাত্র দুদিন। তারপরেই বহু প্রতীক্ষিত কলকাতা ডার্বি।
মাঝে আর মাত্র দুদিন। তারপরেই বহু প্রতীক্ষিত কলকাতা ডার্বি।
আইএসএল-এর মঞ্চে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং হাইভোল্টেজ ম্যাচ। আর মোহনবাগানের অনুশীলন চলছে জোরকদমে। যুবভারতীর অনুশীলন মাঠে জেসন কামিংসদের শরীরী ভাষা যেন সেই কথাই বলছে।
মহামেডান ম্যাচ জয়ের পর, ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গেছে। সেইসঙ্গে, সমর্থকদেরও আস্থা ফিরে এসেছে দলের প্রতি। সোমবারই বড় ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় বাগান শিবিরের। কিন্তু সবাই অনুশীলনে যোগ দেননি সোমবার। জাতীয় দল থেকে ফিরে আপুইয়া এবং শুভাশিস বসুরা অবশ্য ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন দিয়েছেন সঙ্গে।
মঙ্গলবার, গোটা দলকে নিয়ে অনুশীলনের শুরুতেই দীর্ঘ বৈঠকে বসেন হেড কোচ জোসে মোলিনা। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে সেই বৈঠক। কার্যত, ইস্টবেঙ্গল বধের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করে ফেললেন তিনি। এরপর অনুশীলনে নেমেই জোর দিলেন সিচুয়েশন প্র্যাকটিসে।
আরও পড়ুনঃ
ISL: শনিবারের পর আবার ডার্বি ম্যাচ কবে? প্রকাশিত আইএসএল-এর দ্বিতীয় ধাপের সূচি, জেনে নিন
ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দলের দুটি উইংকে ব্যাবহার করে যে তিনি আক্রমণ শানাতে চান, তা এদিনের অনুশীলনে অনেকটাই বোঝা গেল। কিন্তু সমস্যা হল যে, এদিনও দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারলেন না আলবার্তো রডরিগেজ। তিনি ফিজিওর সঙ্গেই অনেকটা বেশি সময় কাটালেন। আলবার্তোর সঙ্গে আলাদা করে অনুশীলন করলেন গ্লেন মার্টিন্সও।
আলবার্তো যদি শনিবার একান্তই খেলতে না পারেন, তাহলে রক্ষণ নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তা থাকবে মোলিনার। তবে এদিনের অনুশীলনে নুনো রুইজের পারফরম্যান্স ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো। তিনিও সমর্থকদের প্রশংসা কুড়ালেন।
আর অনুশীলন শেষে ম্যাকলারেনের কাছে ডার্বিতে গোল উপহার চাইলেন সবুজ মেরুন সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ নিয়ে রীতিমতো উত্তেজিত এই অজি তারকা। তাঁর কথায়, “গত মরশুমের ডার্বি ম্যাচ আমি দেখেছি। ভারতীয় ফুটবলে সবথেকে বড় ম্যাচ। এই ম্যাচ খেলতে পারব ভেবেই গর্ব হচ্ছে। আমাদের সমর্থকরাও মহামেডান ম্যাচের মতোই পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করছে আমাদের কাছ থেকে।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।