Messi in Hyderabad: মেগাস্টারদের কীভাবে সামলাতে হয় এবং এই ধরনের অনুষ্ঠান কীভাবে আয়োজন করতে হয়, তা একেবারে সুষ্ঠুভাবে করে দেখাল তারা। প্রায় ৪০ মিনিট, মাঠে থাকলেন মেসি। 

Messi in Hyderabad: কলকাতাকে বলা হয় ফুটবলের মক্কা। কিন্তু রাজপুত্র তথা ম্যাজিশিয়ান লিওনেল মেসির ইভেন্টেই চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা সেই শহরে (messi in kolkata)। বরং, হায়দ্রাবাদ দুর্দান্ত ইভেন্ট করে দেখাল। শনিবার সকালে, যুবভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে তাণ্ডব চলল, আর সেইদিন সন্ধ্যাতেই অনবদ্য ইভেন্ট করে দেখাল হায়দ্রাবাদ (messi in hyderabad)। 

রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও সঠিক আচরণ করলেন

মেগাস্টারদের কীভাবে সামলাতে হয় এবং এই ধরনের অনুষ্ঠান কীভাবে আয়োজন করতে হয়, তা একেবারে সুষ্ঠুভাবে করে দেখাল তারা। প্রায় ৪০ মিনিট, মাঠে থাকলেন মেসি। কিন্তু পুরোটাই নিজের মতো। গায়ে উঠে পড়া নেই, ঠেলাঠেলি নেই, নির্বিঘ্নেই মিটল সবটা। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও সঠিক আচরণ করলেন। জোরে করে ছবি তুলতে গেলেন না। 

হায়দ্রাবাদের মন জয় করলেন মেসি। ফুটবলপ্রেমী জনতাও খুব খুশি। শনিবার সন্ধ্যায়, হায়দ্রাবাদের উপ্পল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টা থেকে। এরপর সন্ধ্যা ৭.৫৭ মিনিটে, হায়দ্রাবাদের উপ্পল স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছয় মেসির গাড়ি। নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপের মধ্যেই তিনি স্টেডিয়ামে আসেন। তারপর দুই সতীর্থ লুই সুয়ারেজ় এবং রদ্রিগো ডি’পলকে নিয়ে ভিভিআইপি বক্সে দাঁড়িয়ে প্রদর্শনী ম্যাচ উপভোগ করেন লিওনেল মেসি। 

বেশ কয়েকবার উচ্ছ্বসিতও দেখায় তাঁকে। তারপর মেসি মাঠে নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠে নামেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। শুধু তাই নয়, কয়েক মিনিটের মধ্যে তিনি একটি গোলও করেন।

তারপর রাত ৮.১০ মিনিটে, মাঠে আসেন মেসি। গোটা স্টেডিয়াম জুড়ে তখন চলছে ‘মেসি, মেসি’ চিৎকার। উত্তাল সেই স্টেডিয়ামে, লাতিন ভাষায় তখন গান বাজছে। মাঠের মাঝখানে গিয়ে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত, সুয়ারেজ় এবং ডি’পলের সঙ্গে ‘পাসিং দ্য বল’ খেলতে থাকেন মেসি। 

হায়দ্রাবাদে যে কেউ মেসির ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেননি

দুবার লম্বা শট মারেন এবং মাঝে মাঝে বল পায়ে নিয়ে নাচাচ্ছিলেন মেসি। এরপর পুরো মাঠ প্রদক্ষিণ করতে থাকেন তিনি। গ্যালারি থেকেও পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল এবং সবার নজর ছিল মেসির দিকেই। মাঝখানে কয়েকবার ‘পাসিং দ্য বল’ খেলেন মেসি। এমনকি, লম্বা শট মেরে গ্যালারিতেও বল পাঠান মেসি।

সবথেকে বড় বিষয় হল, যুবভারতীর মতো হায়দ্রাবাদে যে কেউ মেসির ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেননি। তাছাড়া ছবি তোলার হিড়িকও দেখা যায়নি। অন্যদিকে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কোথাও কোনও বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি। 

কলকাতা যা পারল না, সেটাই করে দেখাল হায়দ্রাবাদ। আর স্পেনীয় ভাষায় মেসি বাইকে বলেন, “ভারতে আসতে পেরে আমি ভীষণ আনন্দিত। আপনাদের সকলের ভালোবাসায় আমি আপ্লুত। এই ভালোবাসার কথা চিরকাল মনে থাকবে।"

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।