সংক্ষিপ্ত
ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের ক্লাব তাঁবু ঝকঝকে। এবার ময়দানের তৃতীয় প্রধান মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের তাঁবুও সুসজ্জিত করে তোলা হল। সাদা-কালো গ্যালারির সংস্কারও হতে চলেছে।
কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রাচীন ও সফল ক্লাব মহামেডান স্পোর্টিং। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের মতো সাফল্য না থাকলেও, ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ক্লাব সাদা-কালো। আইএসএল-এ এখনও সুযোগ না পেলেও, আই লিগে খেলছে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এই ক্লাব যাতে উন্নতি করতে পারে, তার জন্য সাহায্য করছে রাজ্য সরকার। বুধবার মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের নবনির্মিত তাঁবু উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন সাদা-কালো তাঁবুতে গিয়ে ট্রফি রুম-সহ যাবতীয় ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন। ক্লাবের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জন্য সাড়ে ৭ কোটি টাকা খরচ করেছি। ইস্টবেঙ্গলকেও দিয়েছি, মোহনবাগানকেও দিয়েছি। আইএফএ অ্যাফিলিয়েটেড ক্লাবগুলিকেও আমরা সাহায্য করি। আরও ৩৫ হাজার ক্লাবকে আমরা ৫,০০০ টাকা করে দিয়েছি।'
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা অনেক স্টেডিয়াম তৈরি করেছি। সল্টলেকে যখন ঢোকেন তখন দেখবেন, ফিফা যখন হয় তখন ওখানে একটা অবয়ব মূর্তি আছে। ওপরটা নেই। মুখমণ্ডলটা ফুটবল আর নীচে দুটো পা। ওটা কে এঁকেছিল জানেন? আমিই তৈরি করে দিয়েছিলাম। চিরকাল থাকবে খেলার নিদর্শন হিসেবে। আমি আজকেও বলে যাই, আপনাদের মাঠটা তো সুন্দর হয়েছে। গ্যালারিটা যা হয়েছে হয়েছে, গ্যালারিটাকে এখন ভরাট করতে হবে। আমি ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে গেলাম। কিন্তু আমি এসে দেখতে চাই, এটা কমপ্লিট হয়েছে। তোমাদের সমর্থকরা এত ভালো, এত ডেডিকেটেড। জান জান মহামেডান বলেছো, তার কারণ, তোমাদের হৃদয়টা মহামেডানে ভরা। যারা মহামেডানকে ভালোবাসে।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান আইএসএল-এ খেলছে। মহামেডান কেন খেলবে না? আইএসএল-এ খেলতে হবে। দেশ-বিদেশে যে সমর্থকরা আছেন তাঁদের টাকাতেই আইএসএল খেলতে পারে মহামেডান।'
এদিন মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অনুষ্ঠানে ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, দমকল মন্ত্রী সুজিৎ বসু, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি, ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার, মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। প্রাক্তন ফুটবলার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, সাবির আলি, আসলাম পারভেজও ছিলেন। ভাস্কর ও পারভেজকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সাদা-কালো কর্তারা আশাবাদী, রাজ্য সরকারের সাহায্য পেলে ক্লাব উন্নতি করতে পারবে। বাসন্তী হাইওয়ের ধারে অনুশীলনের কেন্দ্র তৈরি করছে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সেটা হলে শুধু গড়ের মাঠের উপর নির্ভর করে থাকতে হবে না। ফুটবল দল আরও ভালো করার চেষ্টাও করছেন সাদা-কালো কর্তারা।
আরও পড়ুন-
পাঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে ১-০ জয়, ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল
ইন্টার মায়ামির হয়ে নবম গোল, ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নকে উড়িয়ে লিগস কাপ ফাইনালে মেসি
অভিনব উদ্বোধন! ডুরান্ড কাপের ট্রফি নিয়ে ৬৫ তলা থেকে ঝাঁপ দুই সেনাকর্তার