সংক্ষিপ্ত
কয়েকজন ট্রাকচালককে হন্যে হয়ে খুঁজছেন মীরাবাই চানু, সাহায্য করতে চান তাঁদের। একসময় তাঁকে প্রশিক্ষণে সহায়তা করেছিলেন তাঁরা।
কয়েকজন বালি বহনকারী ট্রাকচালককে হন্যে হয়ে খুঁজছেন টোকিও অলিম্পিকে এখনো পর্যন্ত ভারতকে একমাত্র পদক এনে দেওয়া ভারত্তোলক। তিনি তাঁদের আশীর্বাদ নিতে চান। কারা এই বালি বহনকারী ট্রাকচালকরা? ভারতের রুপোর মেয়ে জানিয়েছেন, এই ট্রাকচালকরা তাঁকে নংপক কাকচিং গ্রামের বাড়ি থেকে ইম্ফলের খুমান ল্যাম্পাক স্পোর্টস কমপ্লেক্সের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পৌঁছে দিতেন। তাও আবার একেবারে বিনামূল্যে। তিনি এখন ওই ট্রাক চালকদের সেই উপকার ফিরিয়ে দিতে চান, যেকোনো উপায়ে তাঁদের সাহায্য করতে চান।
হিন্দুস্তান টাইমসকে চানু জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নিয়মিত যাঁরা তাঁকে লিফট দিতেন, সেই ট্রাক চালকদের সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি। তাঁদের আশীর্বাদ মিতে চান। প্রশিক্ষণের কঠিন সময়ে তাঁরা তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জেতার পর, এখন তাদের যে কোন রকমভাবে সাহায্যে করতে চান তিনি। চানুর মা সাইখোম ওঙ্গবি টোম্বি দেবী, নংপক কাকচিং গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালান। তিনি জানিয়েছেন, ট্রাকগুলি আসত ইথাম মাইরাংপুরেল এলাকা থেকে। গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা, তাঁর দোকানে চা খেতে থামত। সেই ট্রাকচালকরাই চানুকে লিফট দিতেন। এতে করে যাতাযাত বাবদ যে খরচটা বাঁচত, তা অলিম্পিক রুপোজয়ীর পুষ্টিকর খাবারের পিছনে খরচ করা হত।
আরও পড়ুন - রূপো নয়, সোনা পেতে পারেন মীরাবাঈ চানু, জানুন কীভাবে
আরও পড়ুন - রূপো নয়, সোনা পেতে পারেন মীরাবাঈ চানু, জানুন কীভাবে
অলিম্পিকস ডটকমকেও চানুর এই ট্রাকচালকদের কাছ থেকে লিফট নেওয়ার কাহিনি শুনিয়েছেন তাঁর ভাই সাইখোম সনাতোম্বা মেইতেই। তিনি জানিয়েছেন, চানুকে যাতায়াতের জন্য মাত্র ১০-২০ টাকার বেশি দিতে পারতেন না তাঁদের বাবা-মা। তাঁদের ছোট গ্রাম হওয়ায়, প্রায় সকলেই সকলকে চেনে। খুব ভোরবেলা গ্রামের বাজার এলাকা থেকে ট্রাকগুলি ছাড়ত ইম্ফলের উদ্দেশ্যে। গ্রামবাসীরাই তাঁদের জানিয়ে দিতেন, কোন ট্রাক চানুর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছে এবং সেটি কখন ছাড়বে। তাদের সঙ্গেই চলে যেতেন সাইখোম মীরাবাই চানু। তবে যাতায়াতের এই অসুবিধা নিয়ে কোনওদিন কোনও অভিযোগ করেননি ভারতের গর্ব এই চ্যাম্পিয়ন ভারোত্তোলক ।
রুপোর পদক নিয়ে দেশে ফিরে এসে ২ বছর পর 'ঘর কা খানা' খাচ্ছেন মীরাবাই চানু। কিন্তু তাঁর মন এখনও পড়ে আছে টোকিওতেই। বৃহস্পতিবার তাঁরই রাজ্যের ক্রীড়াবিদ, কিংবদবদন্তি বক্সার মেরি কমের আরও এক অলিম্পিক পদক জেতার স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পর তিনি মেরি কমের সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, 'মেরি দিদি তুমি একজন কিংবদন্তি, আমরা তোমার জন্য গর্বিত'। আবার শুক্রবার আরেক ভারতীয় বক্সার লাভলিনা বোর্গোহাইন টোকিও অলিম্পিকে ভারতের দ্বিতীয় পদক পাওয়া নিশ্চিত করার পর চানু টুইটারে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তাঁকে সোনা জেতার জন্য ঝাঁপানোর কথা বলেন। শনিবার, আরেকটি টুইটে অলিম্পিকে এখনও লড়াই করা সকল ভারতীয় ক্রীড়াবিদকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।