সংক্ষিপ্ত
বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২-এর ফাইনালে পৌঁছতে নীরজ চোপড়া যোগ্যতা নির্ণায়কে ৮৮.৩৯ মিটার পর্যন্ত জ্যাভলিন থ্রো করেছিলেন। জ্যাভলিন ফাইনালের জন্য গ্রুপ এ থেকে যোগ্যতা নির্ণয়ে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ফাইনালে পৌঁছতে গেলে ৮৩.৫০ মিটার পর্যন্ত অন্তত জ্যাভলিন থ্রো করতে হত। সেখানে নীরজ ছুড়েছিলেন ৮৮ মিটারের বেশি।
বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের হয়ে ইতিহাস লিখলেন নীরজ চোপড়া। জ্যাভলিন থ্রো-এর ফাইনালে তিনি ৮৮.১৩ মিটার থ্রো- করে রূপোর পদক জয় করলেন। এই প্রথম বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নিয়েছেন নীরজ চোপড়া। এর আগে কোনও ভারতীয় বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছননি। সেদিক থেকে নীরজ চোপড়া প্রথম ভারতীয় যিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। সম্প্রতি স্টকহোমেও পদক জয় করেছিলেন নীরজ। সুতরাং বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের তিনি যে ভালো কিছু করবেন তা নিয়ে অনেকেই আশাবাদী ছিলেন।
আমেরিকার ওরগাঁও-এর ইউজিন শহরে এই দিন যখন পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রো-এর ফাইনাল শুরু হয় তখন প্রথম থ্রো-তে খুব একটা ভালো করতে পারেননি নীরজ। কিন্তু, এরপর প্রতিটি অ্যাটেম্পটেই তিনি থ্রো-ডিসট্যান্সে উন্নতি করতে থাকেন। চতুর্থ অ্যাটেম্পটে তিনি ৮৮.১৩ মিটার পর্যন্ত থ্রো করে রূপো পদক জয়েক কাছাকাছি নিজেকে নিয়ে যান। একটা আশঙ্কা ছিল যে চেক প্রজাতন্ত্রের জ্যাকব ভাডলেজ না রূপোর পদক নিয়ে চলে যায়। কারণ, ফাইনালের প্রথম থেকেই ভাডেচিজ দ্বিতীয় স্থানে নিজেকে রেখেছিলেন। কিন্তু, চতুর্থ অ্যাটাম্পটে নীরজের থ্রো ভাডলেজ-কে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছিল। যদিও, থ্রো-ডিস্ট্যান্সে নীরজ ও ভাডলেজ-এর মধ্যে ব্যবধান খুব একটা বেশি ছিল না। তবে, সকলেরই ধরা ছোঁয়ার বাইরে ছিলেন স্বর্ণপদক জয়ী অ্যান্ডারসন পিটারস। তিনি লাগাতার ৯০ মিটারের বেশি থ্রো করে গিয়েছেন ফাইনালে। যা একটা বিশ্ব রেকর্ডও বটে। এছাড়াও গ্রেনেডিয়ার অ্যান্ডারসন পিটারস গত বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে জ্যাভলিনে সোনা জিতেছিলেন। এই নিয়ে টানা দুবার তিনি এই প্রতিযোগিতায় সোনা জিতলেন। এটাও একটা নজির। জ্যাভলিন থ্রো-এর ফাইনালে ছিলেন ভারতের আরও এক প্রতিযোগী রোহিত যাদব। কিন্তু, প্রথম তিনটি অ্যাটেম্পটে তিনি ৮০ মিটার-এর বেশি থ্রো করতে না পারায় ডিস কোয়ালিফাই হয়ে যান।