সংক্ষিপ্ত

  • নৈশালোকে প্রথম টেস্ট ম্যাচ ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে শহরে
  • ইডেনের পাশাপাশি গোলাপি আভায় সাজছে তিলোত্তমা
  • টিঙ্কু ও পিঙ্কুর উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ
  • শহিদ মিনার থেকে হাওড়া ব্রিজ সাজবে গোলাপি রঙে

ভারত-বাংলাদেশের প্রথম নৈশালোকের টেস্ট ঘিরে ইতিমধ্যেই উন্মাদনা তুঙ্গে। শহর কলকাতার চরছে পারদ। ইডেন চত্বরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে দাদা একটা টিকিট হবে? কবে দেওয়া হবে টিকিট? তবে টিকিট আর পাওয়া যাবে কি না সেটা নিয়ে রয়ে যাচ্ছে সংশয়। তবুও চেষ্টা ঐতিহাসিক টেস্টের সাক্ষী থাকার। এক কথায় বললে ইতিমধ্যেই মেগাহিট ইডেন শো। অনেকটা বক্স অফিসে ঝড় তোলার মতন কাহিনী। ব্লকবাস্টার গুলোর পাশাপাশি গোলাপি বলে 'বিরাট' বিপ্লব দেখতে ইডেন গার্ডেন্স যে হাউসফুল হবে সেটা নিশ্চিত। তবে গোলাপি বিপ্লব কি শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ থাকবে ক্রিকেটের নন্দন কাননে? একদমই নয়। ঘরের ছেলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থাকতে সেই বিপ্লব পুরো শহরে ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্বটাও নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি। অন্যতম সেরা ঐতিহাসিক মুহূর্ত ঘটতে চলেছে শহর কলকাতায়। আর তারই মাঝে গোটা কলকাতা রেঙে উঠেছে গোলাপি আভায়। ম্যাচ ঘিরে রয়েছে নানা পরিকল্পনা। সেই মাঝে রবিবার ম্যাচের অফিসিয়াল ম্যাসকটও উন্মোচন করে দিলেন মহারাজ। পিঙ্ক বল টেস্ট ঘিরেই নাম দেওয়া হয়েছে দুই ম্যাসকটের। এক জন পিঙ্কু ও অন্য জন টিঙ্কু।

আরও পড়ুন, কলকাতার জন্য প্রস্তুতি শুরু ইন্দোরে, ফ্লাড লাইটে পিঙ্ক বলের অনুশীলনে বিরাটরা

শুধু মাত্র ম্যাসকটই নয়। গোলাপি আভা সারা কলকাতায় সৌরভের প্রচেষ্টায় ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই। ময়দানের ক্লাব টেন্ট গুলিও সাজিয়ে ফেলা হয়েছে গোলাপি আলোয়। একই সঙ্গে বিসিসিআই সভাপতির আবদারে কলকাতা পুরসভার তরফ থেকেও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সহায়তার হাত। তবে আলাদা কি থাকছে এই টেস্ট ম্যাচের জন্য? সোমবার থেকেই পুরসভা কেন্দ্রীক সব পার্ক সহ শহিদ মিনারকে রাঙিয়ে তোলা হবে গোলাপি আলোয়। শুধু তাই নয় হাওড়া ব্রিজ থেকে দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ, প্রিন্সেপ ঘাট থেকে শুরু করে কলকাতার রাস্তা ঘাটে এবার আর নীল সাদা নয়, দেখা যাবে গোলাপি আলোক সজ্জায়। ইতিমধ্যেই কলকাতার কিনারে গঙ্গায় ঘুড়ছে পিঙ্ক বলে টেস্টের ব্যানার ও গোলাপি আলোয় সাজানো ভেসেল।

 

শুধুই কি তিলোত্তমা, সেখানেও সীমাবদ্ধ নয়। সারা কলকাতার পাশাপাশি কিন্তু সেজে উঠছে ইডেন গার্ডেন্সে। একটি খেলোয়াড়ের জীবনে কতটা লড়াই থাকে সেই থিমেই ওয়াল পেন্টিংয়ের মাধ্যমে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে ইডেন গার্ডেন্সের দেওয়াল গুলি। সাধারণত ইডেনে খেলা হলে আইপিএল ও অন্যান্য খেলায় আতোস বাজি জিনি প্রস্তুত করে ক্রিকেটের নন্দন কাননের জন্য। সেই আতোস বাজি প্রস্তুতকেও গোলাপি রঙের আতোস বাজি চেয়েছে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল। সেই বাজি সন্ধ্যায় ফাটানো হবে ইডেনে। সঙ্গে রয়েছে গ্যাস বেলুনও। স্টেডিয়াম ও আসে পাশে লাগানো হয়েছে ভারতে প্রথম পিঙ্ক বলের টেস্ট ম্যাচের বেলুন। যা আকাশে উড়ছে সারাক্ষণ। শহরে জুড়ে সোমবার থেকেই বাসে ও হোর্ডিংয়েও একাধিক জায়গায় দেখা যাবে গোলাপি বলের টেস্টের ঝলক। ইতিমধ্যে মিশন ডে নাইট টেস্ট সফল হয়ে উঠলেও টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে মানুষের আরও উত্তেজনা বাড়াতে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলাদা কিছুর।

 

 

সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে সময় মতন মঙ্গলবারই কলকাতায় পা রাখছে ভারত ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেই সঙ্গে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই ইডেনে গোলাপি বলে অনুশীলন করতে নেমে যাবেন বিরাট-মনিমুলরা। আর সঙ্গে থাকবে ম্যাসকট পিঙ্কু ও টিঙ্কু। বাচ্চাদের মধ্যে যা সৃষ্টি করতে পারে ক্রিকেট নিয়ে আরও কিছু উৎসাহ। সব মিলিয়ে সিএবি ও বিসিসিআইয়ের যোথ্য প্রচেষ্টায় ফের একবার মুখ উজ্জ্বল করবে ক্রিকেটের নন্দন কানন।