সংক্ষিপ্ত

ভারতে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নানারকম অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের আয়োজন করা হচ্ছে কিন্তু যাঁরা এই রোমাঞ্চ উপভোগ করতে যাচ্ছেন তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

কর্ণাটকের কোডাগু জেলায় প্যারাগ্লাইডিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এই অঞ্চলে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের রোমাঞ্চ উপভোগ করতে যাচ্ছেন। যে সংস্থাগুলি প্যারাগ্লাইডিং আয়োজন করছে তারা বেশ ফুলেফঁপে উঠেছে। কিন্তু পর্যকদের সুরক্ষার জন্য কী ব্যবস্থা করছে এই সংস্থাগুলি? কোডাগুতে কয়েকদিনের ব্যবধানে জোড়া দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় একটি প্য়ারাগ্লাইডারকে গ্রামের রাস্তায় জরুরি অবতরণ করতে হয়। ওই প্যারাগ্লাইডারে সেই সময় দুই ব্যক্তি ছিলেন। তাঁরা যে রাস্তায় জরুরি ভিত্তিতে নেমে পড়তে বাধ্য হন, সেই রাস্তায় তখন একটি গাড়ি আসছিল। ওই গাড়ির চালক তৎপর থাকায় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়। না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। সিসিটিভি ক্যামেরায় এই ঘটনা ধরা পড়েছে। এই ঘটনায় পর্যটকরা যেমন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, স্থানীয় বাসিন্দারাও নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ‘নিত্তুর গ্রামের রাস্তায় যে প্যারাগ্লাইডিং দুর্ঘটনা ঘটেছে, তারপর আমরা সবাই আতঙ্কিত। যাঁরা প্যারাগ্লাইডিং আয়োজন করছেন তাঁদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাঁরা আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না। তবে তারপরেও আমাদের আতঙ্ক কাটছে না।’

এই দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন প্যারাগ্লাইডারের পাইলট ও সহযাত্রী। দুর্ঘটনার পর তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের শরীরের বিভিন্ন অংশে চোট লেগেছে। পাইলট মুথান্না দাবি করেছেন, তাঁর কাছে জেলা প্রশাসনের দেওয়া অনুমতিপত্র আছে। তাঁর প্যারাগ্লাইডিংয়ে চার মাসের অভিজ্ঞতা আছে।

কর্ণাটকে শুধু প্যারাগ্লাইডিংই নয়, কায়াকিং, বোল্ডারিং, রক ক্লাইম্বিং, মাউন্টেন বাইকিং, মোটোক্রস, স্কুবা ডাইভিংয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস রমরম করে চলছে। গত কয়েক বছরে এই ধরনের অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু সেগুলি কতটা নিয়ম মেনে চলছে, সে ব্যাপারে সংশয় রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পর্যটন দফতর যে সমস্ত বিধি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে, সেগুলি পালন করছে না সংস্থাগুলি। এ ব্যাপারে পর্যটন দফতরের এক আধিকারিক বলেছেন, ‘কর্ণাটকে জল, জমি ও আকাশপথে অ্যাডভেঞ্চারের প্রবণতা বাড়ছে। একইসঙ্গে অনুমোদনহীন অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসও বাড়ছে। এই ধরনের অ্যাডভেঞ্চারে ঝুঁকি থাকছে। কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে কোনও বিধি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরই অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম ও স্পোর্টস চালু করে। তাদেরই বিধি নির্দিষ্ট করে দিতে হবে।’

আরও পড়ুন-

অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে যোগ দিতে যাচ্ছেন? কয়েকটি ব্যাপার মাথায় রাখুন

যোগ দিলেন বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা, লাদাখে শেষ হল আইস ক্লাইম্বিং ফেস্টিভ্যাল

ভয় কাটিয়ে উঠলেই আর সমস্যা থাকে না, বলছেন দেশের কনিষ্ঠতম এভারেস্ট বিজয়ী