সংক্ষিপ্ত

গত ২ দশকে অলিম্পিক্সে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন ভারতের শ্যুটাররা। শ্যুটিং থেকে বেশ কয়েকটি পদক এসেছে। প্যারিস অলিম্পিক্সেও শ্যুটিং থেকে পদকের আশায় ভারত।

আগামী বছর প্যারিস অলিম্পিক্সে যোগ দিচ্ছেন বাংলার তরুণী মেহুলি ঘোষ। হুগলি জেলার ২২ বছরের এই শ্যুটার শনিবার আজারবাইজানের বাকুতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ব্রোঞ্জ পান। এই পদকই তাঁকে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করতে সাহায্য করল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে এর আগেও পদক পেয়েছেন মেহুলি। তবে এর আগে তিনি অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি। এবারই প্রথম অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করলেন এই তরুণী। জয়দীপ কর্মকারের ছাত্রী মেহুলি অলিম্পিক্সেও পদক জিততে চান। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক্সে চতুর্থ হন জয়দীপ। তিনি অল্পের জন্য পদক পাননি। এবার জয়দীপ চাইছেন, তাঁর ছাত্রী শ্যুটিং থেকে বাংলাকে প্রথম অলিম্পিক্স পদক এনে দিন।

বাকুতে এবারের শ্যুটিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের দলগত বিভাগে সোনা জিতেছেন মেহুলি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিলোত্তমা সেন ও রমিতা। তাঁদের স্কোর হয় ১৮৯৫.৯। রুপো পাওয়া চিনের পয়েন্ট হয় ১৮৯৩.৭। এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছে জার্মানি। তবে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করার জন্য ব্যক্তিগত বিভাগে পদক জেতা দরকার ছিল মেহুলির। সেটা করে দেখান বাংলার এই শ্যুটার। তিনি মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের ফাইনালে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান। তিনি ২২৯.৮ স্কোর করে ব্রোঞ্জ পান। এই ইভেন্টে সোনা ও রুপো জিতেছেন চিনের শ্যুটাররা। ২৫১.৪ পয়েন্ট নিয়ে সোনা জিতেছেন জিয়াউ হান। ২৫০.২ পয়েন্ট নিয়ে রুপো পান ঝিলিন ওয়াং। এই ৩ শ্যুটারই প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করলেন। 

এখনও পর্যন্ত প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেছেন ৪ জন ভারতীয় শ্যুটার। পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেছেন রুদ্রাক্ষ পাতিল। পুরুষদের ৫০ মিটার রাইফেল ৩ পজিশনসে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেছেন স্বপ্নিল কুশালে। পুরুষদের ট্র্যাপ শ্যুটিংয়ে প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেছেন ভাউনিশ মেন্দিরাত্তা। এবার মেহুলিও অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করলেন। মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের ফাইনালে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান ১৫ বছরের তিলোত্তমা। তিনি ২০৮.৪ পয়েন্ট পেয়ে চতুর্থ হন। পদকের লড়াইয়ে থাকলেও, মেডেল রাউন্ড শুরু হওয়ার আআগেই ছিটকে যান এই কিশোরী। 

ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ৬৩৪.৫ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে ছিলেন মেহুলি। সোনা জয়ী হান ছিলেন তৃতীয় স্থানে। তিনি পান ৬৩২.৩ পয়েন্ট। ৬৩০.৮ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে ছিলেন রুপো পাওয়া ওয়াং। কিন্তু ফাইনালে ফল বদলে যায়। 

ব্রোঞ্জ পেয়ে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করতে পেরে খুশি মেহুলি। এই বঙ্গতনয়া বলেছেন, ‘ব্রোঞ্জ পেয়ে এবং অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করতে পেরে আমি খুব খুশি। আমাকে সাহায্য করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আশা করি ভবিষ্যতে দেশের জন্য আরও পদক জিতে সবাইকে গর্বিত করতে চাই।’

আরও পড়ুন-

বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে স্টিপলচেজে হতাশ করলেন অবিনাশ সাবলে

নিষিদ্ধ বস্তু সেবনের দায়ে ৪ বছরের নির্বাসনের বিরুদ্ধে আবেদন দ্যুতি চাঁদের

PV Sindhu: র‍্যাকেটের বদলে হাতে স্টিয়ারিং, কে এফ ১ কার্টিং সার্কিটে পিভি সিন্ধু