সংক্ষিপ্ত

এখন দেশের বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলার উপরেও জোর দেওয়া হয়। তবে অর্কিডস দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুল যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেই ব্যবস্থা খুব কম স্কুলেই আছে।

শিশুদের  সামগ্রিক উন্নতির ক্ষেত্রে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাও অত্যন্ত জরুরি। সে কথা মাথায় রেখেই পাঠ্যক্রমে খেলা যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে অর্কিডস দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। বর্তমান বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য ক্রীড়া সম্পর্কিত শিক্ষার গুরুত্ব কেউই অস্বীকার করতে পারবেন না। সক্ষম ও সুস্থ শরীর বজায় রাখার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি শিশুদের ভিতর থেকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে খেলা। একটি মার্কিন সরকারি সংস্থা প্রেসিডেন্ট কাউন্সিল অন স্পোর্টস, ফিটনেস অ্যান্ড নিউট্রিশন (PCSFN) বোর্ডের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় কিছু পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। এই সমীক্ষায় যোগ দেওয়া ৭৩ শতাংশ বাবা-মা সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খেলার গুরুত্বের কথা স্বীকার করেছেন। ৮৮ শতাংশ বাবা-মা খেলার সুবিধাগুলির কথা স্বীকার করেছেন। ৫৫ শতাংশ বাবা-মা জানিয়েছেন, খেলার ফলে শিক্ষা ও কর্মজীবনের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। এই সমীক্ষার ফলেই বোঝা যাচ্ছে, শিক্ষার পাশাপাশি খেলাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলের পাঠ্যক্রমে খেলা যুক্ত করা সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করেছেন অর্কিডস দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মঞ্জুলা।

খেলা কীভাবে শিশুদের সামগ্রিক উন্নতিতে সহায্য করে?

১. প্রতিভা এবং সামগ্রিক বিকাশকে উৎসাহিত করা- শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলিতে একটি সংহত ক্রীড়া পাঠ্যক্রমের মূল সুবিধাগুলি কেবল শারীরিক ব্যাপারগুলিতে সীমাবদ্ধ নেই। এটি একাধিক মাত্রায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিভা বৃদ্ধি এবং সামগ্রিক বিকাশের ভিত্তি স্থাপন করে।

২. শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব- পাঠ্যক্রমের সঙ্গে খেলার সংহতিকরণ করা হল আজকের তরুণদের মধ্যে শারীরিক সুস্থতার ক্ষয়িষ্ণু সমস্যা সমাধানের একটি কার্যকর উপায়। নিয়মিত শারীরিক কসরত হৃদযন্ত্র ভালো রাখে, মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমায় এবং অল্পবয়স থেকেই একটি সক্রিয় জীবনধারাকে উৎসাহিত করে। খেলার প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিভঙ্গি শিক্ষার্থীদের আজীবন অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে যা তাদের শারীরিক সুস্থতায় অবদান রাখে।

৩. মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধি- বর্তমান বিশ্বে পড়ুয়ারা প্রতিনিয়ত শিক্ষা-সহ নানা চাপের মুখে পড়ছে। খেলা সেই চাপ কমাতে সাহায্য করে। শারীরিক কসরত করলে উদ্বেগ ও মনমরা ভাব দূর হয়। এর ফলে শুধু মানসিক স্বাস্থ্যই উন্নতি হয় না, মনোযোগ ও একাগ্রতা বাড়ায়। এর ফলে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও উন্নতি হয়।

৪. শিক্ষার উন্নতি- পড়াশোনার ক্ষেত্রে খেলা কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। বরং নিয়মিত খেলাধুলা করলে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও ভালো ফল হয়। শারীরিক কসরত ও খেলা মস্তিষ্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নত করে। স্কুল পাঠ্যক্রমে পড়াশোনার সঙ্গে খেলা থাকলে সামগ্রিকভাবে শিশুদের জীবনের উন্নতি হবে। এছাড়া শিশুদের মানসিক উন্নতি হয়।

৫. দীর্ঘমেয়াদী শৃঙ্খলা এবং দলগত কাজ- পাঠ্যক্রমে খেলা থাকলে শিশুদের জীবনে শৃঙ্খলা আসে, দায়বদ্ধতা তৈরি হয়। খেলার মাধ্যমেই প্রত্যেকের জীবনে শৃঙ্খলা আসে। খেলার মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব, ভদ্রতাবোধ তৈরি হয়।

৬. নৈতিক মূল্যবোধ- আউট়োর বা ইন্ডোর গেমসের মাধ্যমে ন্যায়পরায়ণতা ও প্রতিপক্ষের প্রতি শ্রদ্ধার মতো নৈতিক মূল্যবোধ তৈরি হয়। খেলার মাধ্যমে পড়ুয়ারা দায়িত্ববান হয়ে ওঠে এবং সমাজে সম্মানজনক ব্যক্তি হয়ে ওঠে। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলিতে পাঠ্যক্রমে খেলা যুক্ত করা বহুমুখী পদ্ধতি যা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উপায়ে উপকৃত করে। স্বাস্থ্য, মানসিক অবস্থা এবং শিক্ষার উন্নতিতে সাহায্য করে খেলা।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

Ramayana: স্কুলের বইতেও 'রাম'-নাম? সমাজবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রম বদলের সুপারিশ NCERT-এর

মিলবে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-তে চাকরির সুযোগ, বিরাট পদক্ষেপ নবান্নের, চালু হচ্ছে নয়া শিক্ষা ব্যবস্থা

Global Technology Summit 2023 | স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা, ভারতে দারুণ উপকারী হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: জানালেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর