সংক্ষিপ্ত
বলা হয়, মনের জোর থাকলে অনেককিছুই জিতে নেওয়া সম্ভব। বাস্তবে সেইরকম উদাহরণ একাধিকবার তৈরি হয়েছে। আবারও তার প্রমাণ পেল কলকাতা (Kolkata)।
বলা হয়, মনের জোর থাকলে অনেককিছুই জিতে নেওয়া সম্ভব। বাস্তবে সেইরকম উদাহরণ একাধিকবার তৈরি হয়েছে। আবারও তার প্রমাণ পেল কলকাতা (Kolkata)।
উল্লেখ্য, রবিবারই প্যারিসে শেষ হল প্যারালিম্পিক্সের (Paris Paralympics 2024) আসর। এই বছর ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা তাদের ব্যক্তিগত প্রতিবন্ধকতাকে কার্যত দূরে সরিয়ে রেখেই অসাধারণ পারফরম্যান্স উপহার দিলেন। আর সাফল্যের নিরিখে তারা ছাপিয়ে গেছেন ২০২০ সালের টোকিও প্যারালিম্পিক্সকেও।
এইমুহূর্তে প্রতিযোগিতার শেষে ভারতের মোট পদক সংখ্যা ২৯টি। গত ২০২০ সালে যে সংখ্যা ছিল ১৯। পদক সংখ্যার বিচারে দেখতে গেলে, ভারত ১৮ নম্বর স্থানে শেষ করেছে। অন্যদিকে, প্রথম স্থানে শেষ করেছে চিন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গ্রেট ব্রিটেন এবং তৃতীয় স্থানে আমেরিকা।
অপরদিকে আয়োজক দেশ ফ্রান্স শেষ করেছে অষ্টম স্থানে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে শ্রীলঙ্কা শেষ করেছে ৭৫তম স্থানে এবং পাকিস্তান শেষ করেছে সবার শেষে। অর্থাৎ, ৭৯ তম স্থানে।
আর এই প্যারালিম্পিক্সকে কেন্দ্র করেই ৯ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ সোমবার কলকাতার বুকে আয়োজিত হয় ‘ওয়াক ফর প্যারালিম্পিক্স’। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বিগত ১০ বছর ধরেই কলকাতা শহর এইরকম একটি পদযাত্রার সাক্ষী থেকেছে।
তাদের কথায়, “ভারতের একমাত্র পদযাত্রা এটি, যেখানে প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়দের খেলাধূলোর সুযোগ এবং পরিকাঠামোগত উন্নতির কথা বলা হয়ে থাকে।”
প্রায় ৩০০ জন এই পদযাত্রায় শামিল হন। বাংলার প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়দের পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং পৌর-প্রতিনিধিরাও এই পদযাত্রায় যোগ দেন। যাদবপুর ৮বি থেকে শুরু হয়ে গড়িয়াহাট পর্যন্ত চলে এই পদয়াত্রা।
এই প্রসঙ্গে, আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী খেলোয়াড় সাহেব হুসেন বলেছেন, “বিগত ১০ বছর ধরে এই র্যালি হওয়ার দরূণ, এখন আমরা টেলিভিশনে প্যারালিম্পিক্সের সম্প্রচার দেখতে পাই। আগামী দিনে আশা রাখি, আমাদের এই পদযাত্রা প্যারালিম্পিক্সে বাংলার বিজয় মিছিল হবে।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।