সংক্ষিপ্ত

যেন সত্যিই এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের সাক্ষী থাকল টাটা স্টিল চেজ মাস্টার্স। 

তবে জয় কিন্তু খুব একটা সহজে এল না। টাইব্রেকারেও ফয়সালা না হওয়ায়, ম্যাচ গড়ায় সাডেন ডেথে। আর সেখানেই জয়লাভ করেন প্রজ্ঞানন্দ। প্রসঙ্গত, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরের টুর্নামেন্টেই হার মানতে হল গুকেশকে।

দুই ভারতীয় দাবাড়ুর লড়াই ঠিক কীরকম হয়, তা দেখার জন্যই যেন মুখিয়ে ছিলেন সমর্থকরা। ঠিক কয়েকদিন আগেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন গুকেশ। যদিও টাটা স্টিল চেজ মাস্টার্সের ১৩তম রাউন্ড পর্যন্ত দুজনেরই পয়েন্ট একেবারে সমান ছিল। কিন্তু শেষ রাউন্ডে দুজনেই হেরে যাওয়ার ফলে, ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

তবে প্রথম গেমে কালো ঘুঁটি নিয়ে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন প্রজ্ঞানন্দ। কিন্তু পালটা আক্রমণে বাজিমাত করে দেন গুকেশ। এরপর দ্বিতীয় গেমে প্রজ্ঞানন্দের সাদা ঘুঁটি ছিল। এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে শুরু করেন তিনি। বলা চলে, ঝুঁকি নিয়েই খেলায় সমতা ফেরান প্রজ্ঞানন্দ।

ফলাফল, যখন ১-১, ঠিক ম্যাচ গড়ায় সাডেন ডেথে। কিন্তু গুকেশের ভুলে ম্যাচের রাশ হাতে তুলে নেন প্রজ্ঞানন্দ। যদিও সেখান থেকে লড়াইতে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন গুকেশ। কিন্তু মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ বের করে নেন প্রজ্ঞানন্দ। ম্যাচ হারার মুহূর্তে গুকেশকে রীতিমতো বিধ্বস্ত দেখায় এদিন। দুরন্ত কামব্যাক করে চ্যাম্পিয়ন হন প্রজ্ঞানন্দ।

উল্লেখ্য, গত ২০০৬ সালে, বিশ্বনাথন আনন্দ তৃতীয়বার জেতার পর প্রথম কোনও ভারতীয় এই টুর্নামেন্ট জিতলেন। ম্যাচের পর প্রজ্ঞানন্দ জানান, “আমার এখনও হাত কাঁপছে। আমি জানি না যে, কীভাবে সেই অনুভূতি প্রকাশ করব। আমার জেতার কথা ছিল না। কিন্তু যেভাবেই হোক ম্যাচ আমার পক্ষে চলে এসেছে।”

সেইসঙ্গে, এই ম্যাচটিই যে তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ ছিল, সেটা এককথায় স্বীকার করে নিয়েছেন প্রজ্ঞানন্দ নিজেও।

 

 

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।