সিএম যোগী আদিত্যনাথের অযোধ্যা সফর: হনুমানগড়ি এবং শ্রীরামলালার দর্শনের সময় সিএম যোগী কি সাধারণ পূজা করেছিলেন নাকি মন্দির নির্মাণের অগ্রগতিতে কোনো গোপন রহস্যের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন? 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনির আড়ালে কী বার্তা লুকিয়ে আছে?

অযোধ্যা। বুধবার ভগবান শ্রীরামের নগরী অযোধ্যা ভক্তিমূলক পরিবেশে ডুবে ছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একদিনের সফরে এই পবিত্র ভূমিতে এসেছিলেন। আপনি কি জানতে চান যে মুখ্যমন্ত্রী যোগী কীভাবে মন্দির নির্মাণের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করে কী বার্তা দিয়েছেন?

এটা কি শুধু একটি ধর্মীয় দর্শন ছিল, নাকি এর চেয়ে বড় কোনো বার্তা লুকিয়ে ছিল?

মুখ্যমন্ত্রী যোগী তাঁর অযোধ্যা সফরের শুরু করেন সংকট মোচন হনুমানগড়ি থেকে। সেখানে তিনি প্রণাম করেন এবং রাজ্যবাসীর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করেন। হনুমানগড়ি থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি শ্রীরামলালার দরবারে পৌঁছান। তিনি আরতি করে প্রভু শ্রীরামের চরণে মাথা নত করেন। এরপর মন্দিরের চারপাশে পরিক্রমা করে তিনি রাম জন্মভূমি মন্দিরের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখেন। ট্রাস্টের আধিকারিকরা তাঁকে মন্দির নির্মাণের বর্তমান অবস্থা এবং আগামী পর্বের বিষয়ে जानकारी দেন।

মুখ্যমন্ত্রী যোগী কি মন্দির নির্মাণে বিশেষ কোনো ইঙ্গিত দিয়েছেন?

দর্শন ও পূজার পর মুখ্যমন্ত্রী যোগী ভক্ত এবং সাধারণ মানুষের হাতজোড় করে অভিবাদন গ্রহণ করেন। পুরো চত্বর "জয় শ্রীরাম" ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। এই জমকালো স্বাগত অযোধ্যার ভক্তদের উৎসাহ বাড়িয়ে দেয়। এর আগে, রামকথা পার্ক হেলিপ্যাডে মুখ্যমন্ত্রীকে জমকালো স্বাগত জানানো হয়। জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা পুষ্পস্তবক দিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানান। এই সময় অর্থমন্ত্রী সুরেশ খান্না, কৃষিমন্ত্রী সূর্য প্রতাপ শাহী, পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জয়বীর সিং এবং মেয়র গিরিশপতি ত্রিপাঠী সহ আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

অক্টোবরে প্রথম অযোধ্যা সফর: কী ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে?

এটি অক্টোবর মাসে মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম অযোধ্যা সফর ছিল। তিনি শুধু ধর্মীয় আস্থাই প্রকাশ করেননি, রাম জন্মভূমি মন্দির নির্মাণের অগ্রগতির দিকেও বিশেষ নজর দিয়েছেন। দর্শন, পূজা এবং পরিদর্শনের সময় মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করে হাতজোড় করে অভিবাদন গ্রহণ করেন। ভক্তদের মুখে খুশি এবং উৎসাহ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। "জয় শ্রীরাম" ধ্বনি পুরো অযোধ্যাকে ভক্তিময় করে তুলেছিল। এই সফরে ধর্মীয় আস্থা এবং প্রশাসনিক দৃষ্টিভঙ্গির এক মেলবন্ধন দেখা গেছে। হনুমানগড়ি এবং শ্রীরামলালার দরবার দর্শন আবারও এই বার্তা দিয়েছে যে ধর্মীয় বিশ্বাস এবং জনসেবা একসঙ্গেই চলে।