Allahabad Court on Marriage: প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও করা যাবে দ্বিতীয় বিয়ে। অনুমতি দিলো খোদ আদালত। কোথায় জানেন? বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
Allahabad Court on Marriage: এক নয়, একাধিক বিয়ে করতে পারবেন পুরুষরা। এতদূর পড়ে শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি একটি মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণের কথা শুনিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কোনও পুরুষ যদি মনে করেন তিনি একাধিক বিয়ে করবেন, তাহলে তিনি সেটি করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রীকেও সমান যত্নআত্তি করতে হবে ওই ব্যক্তিকে।
একাধিক বিবাহ নিয়ে ঠিক কী বলেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad Court over Multiple Marriage):-
আদালত সূত্রে খবর, সময়টা তখন ২০২০ সাল। স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও এক ব্যক্তি না জানিয়ে আবার বিয়ে করেন। ওই মহিলা তাঁর স্বামী ফুরকানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন, মামলাকারী ওই মহিলার অভিযোগ- তিনি বর্তমান থাকা সত্ত্বেও তাঁর স্বামী তাকে না জানিয়ে আবার বিয়ে করেছেন।
সূত্রের খবর, ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে মোরাদাবাদ নিম্ন আদালতে অভিযুক্ত-সহ আরও দু-জনকে তলব করেন বিচারক। ফুরকানের আইনজীবী আদালতে জানান, ওই মহিলা তার মক্কেলের সঙ্গে অনেকদিন ধরে প্রেম করছিলেন। আর সেই কথা আদালতে নাকি মহিলা নিজেও স্বীকার করেছেন। অন্যদিকে, মহিলার আইনজীবীর তরফে জানানো হয়, যেহেতু ফুরকান ইতিমধ্যেই বিবাহিত, সেহেতু এই বিয়ের কোনও ভিত্তি নেই। অন্যদিকে ফুরকানের বিরুদ্ধে মোরাদাবাদ নিম্ন আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়।
জানা গিয়েছে, ফুরকানের বিরুদ্ধে পাল্টা চার্জশিট পেশ করা হলে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ফুরকান। এরপর এলাহাবাদ আদালতে বিচারপতি অরুণ কুমার দেশওয়ালের সিঙ্গল বেঞ্চে ওঠে মামলা। সেই মামলার শুনানিতেই এমন পর্যবেক্ষণের কথা জানান বিচারপতি।
মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ (Allahabad Court on Marriage):-
মামলাকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতি অরুণ কুমার দেশওয়ালে জানান, যেহেতু কোরানে বহুবিবাহ সমর্থিত বা বহুবিবাহের উল্লেখ রয়েছে, সেহেতু ওই ব্যক্তি একের অধিক বিয়ে করতে পারেন। এক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। তবে প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আবার বিয়ে করলে প্রত্যেককে সমানভাবে খেয়াল রাখতে হবে। বিচারপতি জানান, যেহেতু কোরানেই বহু বিবাহ সমর্থিত রয়েছে সেই কারণেই এই পর্যবেক্ষণ।
আবেদনকারী কী যুক্তি দিয়েছেন (Allahabad Court on Marriage):-
আদালত সূত্রে খবর, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী ফুরকানের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। কারণ, মুসলিম আইন এবং ১৯৭৩ সালের শরিয়ত আইন অনুসারে একজন মুসলিম লোক সর্বোচ্চ চারবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার বিবাহ করে তিনি কোনও অপরাধ করেননি। আদালতের আরও দাবি, ইসলামে বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় ১৯৭৩ সালের শরিয়ত আইন অনুসারেই নিস্পত্তি হওয়া উচিত। যা স্বামী-স্ত্রীর জীবদ্দশায় অনুমতি দেয়।
এই বিষয়ে ফুরকানের আইনজীবী ২০১৫ সালের গুজরাটের একটি মামলার রায় উদৃধৃত করে এবং আরও কিছু রায়ের কথা আদালতে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ৪৯৪ ধারা দ্বারা অপরাধ প্রমাণিত হতে দ্বিতীয় বিয়ে অবশ্যই বাতিল বলে গণ্য হবে। যদি প্রথম বিয়ে মুসলিম আইন অনুসারে হয়, তাহলে দ্বিতীয় বিয়ে স্বাভাবিক নয়। তবে হাইকোর্টের ১৮ পৃষ্ঠার রায়ে জানা গিয়েছে যে, প্রতিপক্ষ এবং দ্বিতীয় বিবাহিত মহিলা দুজনেই মুসলিম। তাই এই বিয়ে অবশ্যই বৈধ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


