আগামী ২৫ নভেম্বর অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরের মূল চূড়ায় পতাকা উত্তোলন করবেন। যোগীর তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই বিশাল অনুষ্ঠানে ছয় হাজার অতিথি উপস্থিত থাকবেন। নিরাপত্তা, থাকা এবং খাওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অযোধ্যা আরও একবার এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ২৫ নভেম্বর রাম মন্দিরের মূল চূড়ায় পতাকা উত্তোলনের এক বিশাল অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার মন্দিরের চূড়ায় পতাকা ওড়াবেন। এই অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও উপস্থিত থাকবেন।

পতাকা উত্তোলন মন্দির নির্মাণ যাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়

শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের মহাসচিব চম্পত রাই জানিয়েছেন যে, এই পতাকা উত্তোলন মন্দির নির্মাণ যাত্রার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। এই আয়োজন শুধু মন্দিরের পূর্ণাঙ্গ রূপের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিতই দেবে না, বরং রামভক্তদের আস্থা এবং বছরের পর বছর ধরে করা সংগ্রামের প্রতি সম্মানও জানাবে।

বিশেষ অতিথিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

এই বিশাল অনুষ্ঠানে অযোধ্যা মণ্ডল এবং পূর্ব উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রায় ৬,০০০ বিশেষ অতিথি অংশ নেবেন। ভিড় এবং বিশৃঙ্খলা এড়াতে সকল অতিথিকে ২৪ নভেম্বরের মধ্যে অযোধ্যায় পৌঁছানোর অনুরোধ করা হয়েছে। প্রবেশের সময় সকাল ৭:৩০ থেকে ৯:০০টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে এবং অতিথিদের জন্য অনুমোদিত পাস দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন- 

যোগী সরকারের বিদ্যুৎ বিল ছাড় প্রকল্প ২০২৫-২৬: লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের সুদ মকুব ও বড় সুবিধা

দুপুর ২টো পর্যন্ত চলবে অনুষ্ঠান, আধার কার্ড বাধ্যতামূলক

পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠান দুপুর পর্যন্ত চলবে। নিরাপত্তার কারণে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোনো ধরনের অস্ত্র বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলভার নিয়ে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ট্রাস্ট স্পষ্টভাবে আবেদন করেছে যে, সমস্ত অতিথি যেন অস্ত্র ছাড়াই অনুষ্ঠানে আসেন।

অতিথিদের থাকা, খাওয়া এবং জলের পাকা ব্যবস্থা

প্রশাসন এবং ট্রাস্ট অতিথিদের জন্য বড় আকারের ব্যবস্থা করেছে—

আশ্রম

হোম স্টে

বাগ বিগেসী

কারসেবকপুরম

এই স্থানগুলিতে প্রায় ৩,০০০ অতিথির থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি অতিথিদের অন্য নিরাপদ স্থানে রাখা হবে। সকলের জন্য খাবার, পানীয় জল এবং মন্দির চত্বরের ভিতরে বসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের সময় রামলালার দর্শন এবং অনুষ্ঠানের শেষে সকলকে পবিত্র প্রসাদও দেওয়া হবে।

অযোধ্যার উন্নয়ন এবং রাম মন্দিরের জাঁকজমকের বিশ্বব্যাপী বার্তা

এই পতাকা উত্তোলন শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং অযোধ্যার পরিবর্তনশীল রূপ এবং রাম মন্দিরের জাঁকজমকের একটি বিশ্বব্যাপী বার্তা দেবে। প্রধানমন্ত্রীর চূড়ায় পতাকা ওড়ানো এই কথার প্রতীক হবে যে, শতাব্দীর প্রতীক্ষার পর রামলালা তাঁর দিব্য মন্দিরে विराजमान হয়েছেন। এই অনুষ্ঠানটিকে মন্দির নির্মাণের চূড়ান্ত পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও মনে করা হচ্ছে।

যোগী সরকারের অগ্রাধিকার: নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থা

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে প্রশাসন, পুলিশ এবং ট্রাস্ট অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রয়েছে।

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিড় ব্যবস্থাপনার উপর বিশেষ নজর

অতিথিদের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার

২৫ নভেম্বরের দিনটি অযোধ্যা এবং সমগ্র দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। মন্দিরের চূড়ায় উড়তে থাকা পতাকা আগামী প্রজন্মের জন্যও একটি স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে।