বিনিয়োগকারীদের টানতে মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই এবং নয়াদিল্লিতে 'ইনভেস্ট ইউপি' স্যাটেলাইট অফিস খুলবে উত্তরপ্রদেশ সরকার। প্রতিটি অফিস অর্থ, প্রযুক্তি এবং উৎপাদনের মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পগুলিতে নজর দেবে।
লখনউ, ২২ অক্টোবর: মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে, উত্তরপ্রদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে আরও একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এবার মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই এবং নয়াদিল্লির মতো ভারতের পাঁচটি প্রধান মেট্রো শহরে 'ইনভেস্ট ইউপি' স্যাটেলাইট ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন অফিস খোলা হবে। এর লক্ষ্য হল দেশের প্রধান শিল্প কেন্দ্রগুলি থেকে সরাসরি উত্তরপ্রদেশে পুঁজি বিনিয়োগ আনা এবং বিনিয়োগকারীদের রাজ্যের নীতি ও সুযোগগুলির সঙ্গে যুক্ত করা।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ইতিমধ্যেই ইনভেস্ট ইউপি-র পুনর্গঠনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে, রাজ্যের শিল্প উন্নয়নে নতুন গতি দিতে এই স্যাটেলাইট অফিসগুলি স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রতিটি অফিসে একজন জেনারেল ম্যানেজার, একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার, দুজন উদ্যমী মিত্র, দুজন এক্সিকিউটিভ এবং দুজন অফিস অ্যাসিস্ট্যান্টের একটি দল থাকবে। পাঁচটি অফিসের মোট বার্ষিক ব্যয় ১২ কোটি টাকার বেশি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতিটি শহরের স্যাটেলাইট অফিস তার ভৌগোলিক এবং শিল্প শক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কৌশলগত ক্ষেত্রগুলিতে মনোযোগ দেবে।
- মুম্বাই অফিস ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ফিনটেক এবং ইএসজি ফান্ডের উপর নজর দেবে।
- বেঙ্গালুরু অফিস জিসিসি (গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার), অ্যারোস্পেস, সেমিকন্ডাক্টর, ইলেকট্রিক ভেহিকেল এবং ডিপটেক সেক্টরকে টার্গেট করবে।
- হায়দ্রাবাদ অফিস ফার্মা, ডেটা সেন্টার, হেলথটেক এবং এন্টারপ্রাইজ সাস ইন্ডাস্ট্রিতে ফোকাস করবে।
- চেন্নাই অফিস অটোমোটিভ, ইলেকট্রনিক্স, টেক্সটাইল এবং হার্ডওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে বিনিয়োগ করবে।
- নয়াদিল্লি অফিস ডেডিকেটেড ইনভেস্ট ইউপি এবং এশিয়া-ইউরোপীয় ইউনিয়ন ফ্যাসিলিটেশন অফিস হিসাবে কাজ করবে।
‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’-এর ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী হবে
যোগী সরকারের এই পদক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগকে শক্তিশালী করতে এবং রাজ্যের ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ ভাবমূর্তি আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন যে উত্তরপ্রদেশ এখন আর শুধু একটি উপভোক্তা রাজ্য নয়, বরং বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে। স্যাটেলাইট অফিসগুলি এই দিকে একটি সেতু হিসাবে কাজ করবে। এই অফিসগুলির মাধ্যমে, উত্তরপ্রদেশ দেশের শীর্ষ শিল্প কেন্দ্রগুলিতে একটি স্থায়ী উপস্থিতি স্থাপন করবে এবং বিশ্ব বিনিয়োগের মানচিত্রে একটি নতুন পরিচয় তৈরি করবে।


