সংক্ষিপ্ত
টুইটার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন সমস্যার মধ্যে ব্যবহারকারীরা যে অন্য অ্যাপের দিকে ঝুঁকবেন, সেই সম্ভাবনা আগে থেকে বুঝে নিয়ে টুইটার ছাড়ার আগে থেকেই ‘ব্লুস্কাই’ তৈরির কাজে লেগে পড়েছিলেন জ্যাক ডরসি।
অনলাইন যোগাযোগমাধ্যম ও মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের বিকল্প নিয়ে এলেন টুইটারেরই সহ প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির নাম ‘ব্লুস্কাই’। টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন শীর্ষ নির্বাহী জ্যাক ডরসি জানান, টুইটার থেকে ব্যবহারকারীরা যেসব সুবিধা পান, সেই একই সুবিধা দেবে ব্লুস্কাইও। স্মার্ট ফোনে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এই প্ল্যাটফরমটি ব্যবহার করতে পারবেন।
কয়েকদিন আগে ব্লুস্কাইয়ের উদ্বোধন হয়েছে এবং ইতিমধ্যে এই সামাজিক মাধ্যমটিতে ২০ হাজারেরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী অংশ নিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম। ব্লু স্কাই মোবাইল অ্যাপের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে ‘সামাজিক’ ইন্টারনেটে অভ্যস্ত নেটিজেনদেরা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে আরও বেশি স্বাধীনতা দাবি করবেন। এই ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিয়েই এই অ্যাপটি প্রস্তুত করা হয়েছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, এই অ্যাপটির ডেভলেপমেন্টের জন্য এখনও কাজ চলছে এবং প্রতিযোগী অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো অবস্থায় আসতে এর আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যাবতীয় প্রোটোকল মেনেই এই অ্যাপটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। সামাজিক নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়াই ব্লুস্কাইয়ের লক্ষ্য।’ জ্যাক ডরসি, নোয়াহ গ্লাস, বিজ স্টেন এবং ইভান উইলিয়ামস— এই চারজন মিলে ২০০৬ সালে টুইটার প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই এ কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহী ছিলেন জ্যাক। ১৫ বছর পর ২০২১ সালের নভেম্বরে পরাগ আগরওয়ালের হাতে দায়িত্ব দিয়ে টুইটার থেকে সরে যান তিনি।
জ্যাক ডরসি টুইটার ছেড়ে দেওয়ার কয়েক মাস পর, ২০২২ সালের এপ্রিলে টুইটার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ব্যক্তি ইলন মাস্ক। কিন্তু, তখন কিছুদিন পরেই মত পাল্টে টুইটার কেনা থেকে বিরত থেকেছিলেন তিনি। তারপর প্রায় ছয় মাস ধরে টালবাহানার পর ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর টুইটারের মালিকানা গ্রহণ করেন ইলন মাস্ক। সে সময় এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটির কর্মীসংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৫০০ জন। মালিকানা নেওয়ার পরপরই টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন মাস্ক। তারপর শুরু করেন গণছাঁটাই। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে টুইটারের ৫০ শতাংশ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেন মাস্ক। এখনও সেখানে কর্মী ছাঁটাই অব্যাহত আছে। চলতি সপ্তাহেই বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বদের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লু টিক সরিয়ে দিয়েছে সংস্থার কর্তৃপক্ষ। সেই পরিস্থিতিতে অবশ্যই অন্য প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের দিকে ঝুঁকবেন নেটিজেনরা। সেই প্রয়োজনীয়তা অনেক আগে থেকে বুঝে নিয়েই ২০১৯ সাল থেকে ব্লুস্কাই প্ল্যাটফর্মটি তৈরির কাজে লেগে পড়েছিলেন জ্যাক ডরসি। ধীরে ধীরে ব্যবহারের যোগ্য হয়ে উঠল এই অ্যাপ।
আরও পড়ুন-
চলে গেলেন সৌগত রায়ের পত্নী ডলি রায়, স্ত্রীকে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান তৃণমূল সাংসদ
জনবহুল আদালত চত্বরে মহিলাকে একের পর এক গুলি, দিল্লিতে আইনজীবী সেজে পালিয়ে গেল আততায়ী
ব্লক কমিটি গঠন নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে ব্যাপক ডামাডোল, বাঁকুড়ার রাইপুরে বাড়ছে অস্বস্তি