সংক্ষিপ্ত

Starlink India: স্টারলিংক, স্পেসএক্সের একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট প্রকল্প, যা ভারতের রিমোট এরিয়াগুলোতে হাই স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে অনুমোদিত। এখন দেখার বিষয় কবে থেকে বাজারে আসে এই ইন্টারনেট ব্যবস্থা।

Starlink India: ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের উদ্যোগে ষ্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবার অনুমোদন দিল ভারত। চলতি বছর ২০২৫ সালে ভারত সরকার স্টারলিঙ্ককে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স প্রদান করবে। তবে তো নির্দিষ্ট শর্তবলীর অধীনে থাকবে। এই শর্তাবলী অনুযায়ী ভারতের সমস্ত ব্যবহারকারীর ডেটা ভারতেই সংরক্ষিত থাকবে এবং গোয়েন্দা বিভাগ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরকারি বিভাগগুলিতে ডেটা সরবরাহ করতে হবে। ষ্টারলিংক এই শর্তাবলী মেনে নিয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় লাইসেন্সের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে তবেই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে মিলবে চূড়ান্ত অনুমোদন।

একজন সরকারি কর্মকর্তা সূত্রে খবর, "হ্যাঁ, ভারতে GMPCS, VSAT এবং ISP লাইসেন্সের জন্য Dot কর্তৃক স্টারলিংককে LoI (letter of intent) জারি করা হয়েছে। স্টারলিংক সমস্ত লাইসেন্সের শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হলে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া হবে।"

হঠাৎ ভারতের ষ্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট পরিষেবার প্রতি তৎপরতা ও আগ্রাসী মনোভাব, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের কোনো বৃহত্তর বাণিজ্যিক সুবিধার কারণে কিনা তা নিয়ে জল্পনা পাক খাচ্ছে বেশ। কারণ, স্পেসএক্সের এই ইন্টারনেট পরিষেবা ভারতে বিশাল এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দিক খুলে দিচ্ছে। শুধুমাত্র ভারতের ব্রডব্যান্ড এর বাজারে এক শতাংশ গ্রাহকও যদি দখল করা যায়, তবে ১ বছরেই প্রায় এক বিলিয়ন ডলার আয় করা যাবে, বলে মনে করা হচ্চ্ছে।

জিও এবং এয়ারটেলের সাথে অংশীদারী

এ বছরের মার্চে, জিও ও এয়ারটেল, দুজনেই স্পেসএক্সের ষ্টারলিঙ্কের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, এবং অংশীদারত্বের কথাও ঘোষণা করা হয়। জিও জানিয়েছিল, স্পেসএক্স ভারতে পরিষেবা চালু করার পর, জিও তাদের দোকান ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্টারলিংকের পরিষেবা দেবে। এয়ারটেলও একই কথা বলে, এয়ারটেলের দোকানে স্টারলিংক ডিভাইস বিক্রি করা যাবে এবং বিভিন্ন অফিস বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য স্টারলিংকের পরিষেবা মিলবে সেখান থেকেই।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।