Headphones: আমার আপনার মতোই অধিকাংশ মানুষই তার ছাড়া হেডফোন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে জানেন কি, তারযুক্ত হেডফোনও কমা যায় না। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী ফিচার বুঝে হেডফোন কেনাই শ্রেয়। তার আগে জানতে হবে, কোন হেডফোনে কী ফিচার পাবেন?

Headphones: রাস্তাঘাটে চলাফেরা হোক বা বাড়িতে বসে থাকা, আজকের দিনে হেডফোন দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। অফিস মিটিং থেকে শুরু করে জিম, ভ্রমণ, এমনকি ঘুমের আগে পর্যন্ত হেডফোন সঙ্গী। সেদিকে সবিধার জন্য সাধারণ মানুষের এখন পছন্দ তার ছাড়া হেডফোন বা ব্লুটুথ। কারণ, এই হেডফোনে তারের ঝামেলা কম। তার ছিঁড়ে বা জড়িয়ে হেডফোন খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাও প্রায় নেই।

বাজারে অনেক রকমের হেডফোন পাওয়া যায়- ব্লুটুথ হেডফোন, ওয়াইফাই হেডফোন বা রেডিও ফ্রিক্যোয়েন্সি হেডফোন ও ইনফ্রারেড হেডফোন। তবে দুই ধরনের হেডফোনই জনপ্রিয়—তারযুক্ত বা Wired headphones এবং তারছাড়া ব্লুটুথ বা Bluetooth headphones। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—কোনটি বেশি ভালো? তারযুক্ত নাকি ব্লুটুথ হেডফোন? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

Bluetooth বনাম Wired headphones

১। অডিয়ো কোয়ালিটি

তার যুক্ত হেডফোনে অডিয়ো সরাসরি ট্রান্সমিশন হয়। আর অ্যানালগ কানেকশনের মধ্যে দিয়ে এই কাজ হয় বলেই অডিয়ো কোয়ালিটি এই হেডফোনে দুর্ধর্ষ হয়। বিশেষ করে মিউজিক প্রফেশনাল, অডিও এডিটররা এগুলোই ব্যবহার করেন।

অন্যদিকে ব্লুটুথ হেডফোনে ডিজিটাল কোড (যেমন SBC, AAC, aptX) ব্যবহার হয়। অডিও কম্প্রেস হয়, তাই কিছুটা কোয়ালিটি কমে যেতে পারে। তবে উন্নত কোড ব্যবহারে তা অনেকাংশে কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে।

২। ব্যাটারি ও চার্জিং

তারযুক্ত হেডফোনে চার্জ লাগে না। প্লাগ করলেই চলে।

কিন্তু ব্লুটুথ হেডফোন ব্যাটারিচালিত। নিয়মিত চার্জ দিতে হয়। চার্জ শেষ হয়ে গেলে আর কাজ করে না।

৩। দাম ও কার্যকারিতা

তারযুক্ত হেডফোন তুলনামূলকভাবে সস্তা। সব ডিভাইসেই সহজে কানেক্ট হয়ে কাজ করে।

ব্লুটুথ হেডফোনের দাম কিছুটা বেশি। আবার কিছু পুরোনো ডিভাইসে ব্লুটুথ ভার্সনের মিল না হলে কানেক্ট হবে না বা ঝামেলা হতে পারে কানেকশনে।

৪। ব্যবহারিক সুবিধা

তারযুক্ত হেডফোনে তার জড়িয়ে বা টান লেগে ছিঁড়ে যাওয়ার ঝামেলা আছে।

কিন্তু ব্লুটুথে নো ওয়্যার। চলাফেরা, হাঁটাচলা, দৌড়ঝাঁপে বাধা নেই। জিম, ট্র্যাভেল - এসবের জন্য দুর্দান্ত।

৫। ল্যাটেন্সি ও সিঙ্ক

তারযুক্ত হেডফোনের ল্যাটেন্সি শূন্য। গেমিং বা লাইভ মিউজিকে একদম সঠিক সিঙ্ক মেলে।

অন্যদিকে ব্লুটুথ হেডফোনে কিছু ল্যাটেন্সি থাকে। ভিডিও ও অডিওর মাঝে সামান্য টাইম ল্যাপস হতে পারে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।