আজ সকাল থেকেই দেশের অন্য প্রান্তের পাশাপাশি কলকাতাতেও শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ দেওয়া। তবে এই ডোজ এখন সবাই পাবেন না। চিকিৎস, স্বাস্থ্য কর্মী ও ৬০ ঊর্ধ্বদেরও দেওয়া হচ্ছে এই ডোজ। যদিও সব মানুষকেই বুস্টার ডোজ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
ভারতে বুস্টার ডোজ পাওয়ার ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের মিক্সড অ্যান্ড ম্যাচ করা হবে না, জানালেন ডক্টর ভি কে পল (Dr VK Paul)। তাহলে, সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড (Covishield) না ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন (Covaxin), কোনটা পাবেন?
এনকে অরোরার কথায় এখনও দেশের ৪-৫ কোটি গর্ভাবতী মহিলার মাধ্যে মাত্র ১০ শতাংশের টিকাকরণ হয়েছে। যার অর্থ এখনও পর্যন্ত ৪ কোটি মহিলা টিকা পাননি। যাঁরা রীতিমত দুর্বল, এই অবস্থাতেও তাঁরা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।
সহ-অসুস্থতা (Co-morbidity) থাকা প্রবীণ নাগরিকদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার শট (COVID-19 Vaccine Boodter Dose) পাওয়ার জন্য ডাক্তারের শংসাপত্র জমা দিতে হবে না। মঙ্গলবার নিয়ম বদলালো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশ করেছে যে ওমিক্রনের এই সংক্রমণ রুখতে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ভাইরাস ভিত্তিক ভ্যাক্সিন প্রাপকদের বুস্টার ডোজ দেওয়া উচিৎ।
টিকার পূর্ণ ডোজ দেওয়ার ৯ মাস পর, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের (Covid-19 Vaccine) বুস্টার ডোজ (Booster Dose) দেওয়ার সুপারিশ করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)। শনিবার এই নিয়ে বৈঠকে বসবে মন্ত্রিসভার সচিবালয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ সৌম্য স্বামীনাথনের মতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ হয়ত দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত করা নতুন করোনাভাইরাস রূপ B.1.1.529-এর মোকাবিলা করতে কাজে লাগবে।
করোনা টিকার বুস্টার ডোজও প্রয়োজন নেই আপাতত। মত নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS) এর পরিচালক রণদীপ গুলেরিয়ার।
আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব জানাচ্ছেন এমন মনে করার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি মেলেনি যে বুস্টার ডোজই একমাত্র কার্যকরী করোনার বিরুদ্ধে। তাই এখনই বুস্টার ডোজ নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।
দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ককেই কোভিড-১৯ টিকার বুস্টার ডোজ (Covid-19 Vaccine Booster Dose) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। সেই দেশের টিকাগুলি কি কাজ করছে না?