সংক্ষিপ্ত

কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক বৌদ্ধ পর্যটনেকে ভারতীয়দের পাশাপাশি বিদেশীদের কাছে তুলে ধরতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ৪ অক্টোবর থেকে আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। 

পর্যটকদের  (Buddhist tourism) উৎসাহী করতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার(Central Government)। বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে যুক্ত পর্যটন (Buddhist tourism) কেন্দ্রগুলির আকর্ষণ বাড়াতে চালু করা হল একটি নতুন ট্রেন। 'বৌদ্ধ সার্কিট ট্রেন এফএএম ট্যুর' ( Buddhist Circuit Train FAM Tour) নামের ট্রেনে করেই একসঙ্গে ঘুরে আসা যাবে বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে যুক্ত পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে। 

কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক বৌদ্ধ পর্যটনেকে ভারতীয়দের পাশাপাশি বিদেশীদের কাছে তুলে ধরতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ৪ অক্টোবর থেকে আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। এই ট্রেনটি বিহারের গয়া, বুদ্ধগয়া, রাজহীর, নালন্দাস ও উত্তর প্রদেশের সারনাথ-বারানসীর মত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়গুলিতে যাবে। 

পাশাপাশি একটি সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়েছে।  বৌদ্ধগয়া ও বারানসীর বিশিষ্ট বৌদ্ধপর্যটনকেন্দ্রগুলিও সম্মেলনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ট্যুর আপারেটর ও হোটেল ব্যবসায়ী পর্যটন মন্ত্রকের কর্মকর্তা ও বিহা উত্তর প্রদেশের প্রশাসনিক আধিকারিকরা এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেন বলেও আশা করা হয়েছে। 

Shooting in Space: হলিউডকে টেক্কা, মহাকাশে ছবির শ্যুটিং করতে উড়ে গেল রাশিয়ান পরিচালক ও অভিনেত্রী

আইআরসিটিসি ও পর্যটন দফতরের প্রবীণ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের মহামারি ছড়িয়ে পড়ার আগে বৌদ্ধ সার্কিট বিশেষ ট্রেনটি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষবারের মত চলেছিল। তারপর থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেনটি। 

কেন্দ্রীয় সরকারের কথায় দেশে বৌদ্ধ পর্যটনের সম্ভাবনা রেয়েছে। সেই কারণেই বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে যুক্ত স্থানগুলিকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। বিশ্বের কাছেও ভারতীয় বৌদ্ধ ধর্মের ঐতিহ্যের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আগামী দিনে পর্যটন মন্ত্রক ভারতকে বিশ্বের কাছে বৌদ্ধের দেশ হিসেবে তুলে ধরারও পরিকল্পনা নিয়েছে। আড়াই হাজার বছর পুরনো বৌদ্ধ ধর্ম। এই ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা ৫০০ মিলিয়ন। বৌদ্ধরা বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৭ শতাংশ। গৌতম বুদ্ধের জন্ম লুম্বিনী (বর্তমানে নেপাল) তে হলেও তাঁর কর্মক্ষেত্র মূলত ভারত। বৌদ্ধ ধর্মও ভারত থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বে। সেই কারণেই এই পর্যটকদের কাছে প্রাচীন ভারতের বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে যুক্ত স্থানগুলিরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। 

করোনাকালে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপযোগী ভারতীয় সমাজ, UNICEFএর রিপোর্ট প্রকাশ করে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিহার ও উত্তর প্রদেশ প্রশাসন কেন্দ্রীয় পর্যটক মন্ত্রকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একটি রোডম্যাপও তৈরি করেছে। নালন্দ, বুদ্ধগয়া, রাজগীর, ভায়াশালী, সারনাথ, শ্রবন্তী , কুশীনগর, কৌশাম্বী কপিলাবস্তুর মত জায়গাগুলির উন্নয়নের পরিকল্পনাও নিয়েছে। এই কেন্দ্রগুলিতে প্রতিবছর দেশের মোট পর্যটকের প্রায় ৬ শতাংশ মানুষ আসেন। 

উড়ান, রেল ও সড়কপথে বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে যুক্ত স্থানগুলিকে যুক্ত করার পাশাপাশি পরিষেবা বাড়ান, ব্র্যান্ডিং ও প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বদেশ দর্শন যোজনার আওতায় মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গুজরাট ও অন্ধ্রপ্রদেশের বৌদ্ধ পর্যটন কেন্দ্রগুলির উন্নয়নের জন্য  ৩২৫.৫৩ কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদিত করা হয়েছে। তিনটি প্রকল্পের জন্য ৪৪.১৯ কোটি টাকাও ধার্য করা হয়েছে। বারানসীর জন্যও থাকছে দুটি প্রকল্প। 

UP Violence: কৃষকদের পিষে মারার video viral, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সুর মিলিয়ে টুইট বিজেপি সাংসদের

অন্যদিকে পর্যটন মন্ত্রক প্রতিবছরের মত এবছর বৌদ্ধ কনক্লেভের আয়োজন করেছে। চলতি বছর বৌদ্ধ কনক্লেভ হবে ১৭-২১ নভেম্বর। এই কনক্লেভের মূল উদ্দেশ্যই প্রচার বাড়ানো। ভারত সরকারের মূল টার্গেট হল শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া-র মত দেশগুলিকে আকর্ষিত করা। পর্যটকদের ভাষাগত সুবিধের জন্যেই এখনও পর্যন্ত ২০১৮ -২০২০ সালের মধ্যে ৫২৫ জনকে জাপানি. চিনা ও ভিয়েতনামী ভাষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ২০২০-২০২৩ সালের মদ্যে ৬০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। 

YouTube video player