সংক্ষিপ্ত
এক ড্রোন স্ট্রাইকে খতম আইএসআইএস-কে'র দুই বড় নেতা। তারপরও কাবুলে হামলার হুমকি রয়েই গিয়েছে বলে জানালো পেন্টাগন।
আইএসআইএস-কে'র কাবুল বিস্ফোরণের প্রতিশোধে আমেরিকা এক ঢিলে দুই পাখি মারল। শনিবার পেন্টাগন দাবি করেছে, মার্কিন বিমান হামলায় আইএসের দুই উচ্চপদস্থ নেতা নিহত হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে, এই ড্রোন হামলায় আরও একজন আইএস জঙ্গি গুরুতর আহত হয়েছে। তবে কোনও অসামরিক ব্যক্তি হতাহত হয়নি বলেই জাবি করেছে আমেরিকা। সেইসঙ্গে পেন্টাগনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সেনা প্রত্যাহার শেষ না হওয়া পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের আত্মরক্ষার ক্ষমতা বজায় রাখবে।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন এফ কিরবি জানিয়েছেন বলেন, শুধুমাত্র একটিই ড্রোন হামলা করা হয়। আর তাতেই আইএস-এর দুই জঙ্গি খতম হয়েছে বলে তথ্য এসেছে পেন্টাগনে। কিরবি আরও জানিয়েছেন, অতীত কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে ওই জঙ্গিদের 'হাই প্রোফাইল' জঙ্গি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে তাদের নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরের বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি তারা জড়িত ছিল কিনা, তাও জানাননি কিরবি। শুধু বলেন, নিহতদের একজন ছিল আইএসআইএস-কে'র পরিকল্পনাকারী এবং অপরজন হামলাকারী ছিল, যা তাদের হত্যার যথেষ্ট কারণ। তাদের ভূমিকার বিস্তারিত বিবরণ তিনি দিতে চাননি।
"
তবে, কাবুল বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় এরপরেও হামলার আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে বলে মেনে নিয়েছে পেন্টাগন। প্রেস সচিব জানিয়েছেন, আমেরিকা এই ধরমের হামলার বিষয়ে রিয়েল-টাইম পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে। জঙ্গিদের সঙ্গে হক্কানি এবং তালিবান গোষ্ঠীর যোগায়োগের বিষয়েও কোনও মন্তব্য করেনি পেন্টাগন। প্রেস সেক্রেটারি বলেন, তাদের মনোযোগ এখন কত বেশি লোককে কত দ্রুত আফগানিস্তান থেকে বের করে আনা য়া, সেইদিকে রয়েছে। হক্কানি এবং তালিবান গোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্যের কাঁটাছেড়া সেই কাজে কোনও লাভ দেবে না।
আরও পড়ুন - ডানা কেটে নিয়েছিল তালিবান, ছবিতে ছবিতে চিনে নিন আফগান বায়ুসেনার প্রথম মহিলা পাইলটকে
আরও পড়ুন- কাবুলে 'রুদ্ধ সঙ্গীত' - গানের স্কুলে ভাঙছে বাদ্যযন্ত্র, বাড়ছে তালিবানের আনাগোনা, দেখুন
এদিকে, সিএনএন দাবি করেছে, শনিবারের এয়ারস্ট্রাইকে আইএসের যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে অন্তত একজন পরিকল্পনাকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বপরিচিত ছিল। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জালালাবাদের একটি কম্পাউন্ডে এই হামলা চালানো হয়েছে। কাবুল থেকে এলাকাটি প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে। ওই আইএসস জঙ্গিদের স্ত্রী ও সন্তানরা ওই স্থান ছেড়ে চলে না যাওয়া পর্যন্ত কম্পাউন্ডের উপর নজরদারি অব্যাহত রেখেছিল মার্কিন সেনা। তারা বের হতেই ড্রোন স্ট্রাইক করা হয়। এক মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে সিএনএ আরও বলেছে, আইএসআইএস-কে জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে আরও বড় পদক্ষেপ নিতে পারে আমেরিকা।