সংক্ষিপ্ত
- আগামী মাসেই আমেরিকার হিউস্টনে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী
- সেখানে প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে 'হাউডি মোদী' নামে এক সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি
- প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্য়েই সেই সম্মেলনের ৪০০০০ পাস শেষ
- জ্বালানি সুরক্ষায় বড় চুক্তি হতে পারে মোদীর সফরে
'হাউডি মোদী'? আমরিকার হিউস্টন শহরে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর এই নামেই এক অনুষ্ঠানে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের সামনে বক্তৃতা দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার জন্য পাস দেওয়া শুরু হওয়ার প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্য়েই প্রায় ৪০০০০ জন সেই পাস সংগ্রহ করেছেন। আয়োজকরা মনে করছেন সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ৫০০০০ ছাড়িয়ে যাবে।
আমেরিকার দক্ষিণ দিকের রাজ্যগুলিতে 'হাউডি' কথাটা খুবই প্রচলিত। হাউ ডু ইউ ডু কথাটিকে ছোট করে নিয়েই বলা হয় হাউডি, অর্থাৎ কেমন আছেন? টেক্সাস ইন্ডিয়া ফোরাম নামে এক অলাভজনক সংস্থা এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছ। আগামী মাসে রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলি সেশনে যোগ দিতে হিউস্টনে আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ই এনআরজি ফুটবল স্টেডিয়ামে প্রবাসী ভারতীয়দের মুখোমুখি হবেন নরেন্দ্র মোদী।
আর তাই নিয়ে এখন থেকেই হিউস্টনবাসীর মধ্য়ে দারুণ উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে। প্রায় ৫ লক্ষ ভারতীয় বাস করেন হিউস্টনে। তবে শুধু ভারতীয়রাই নন, মার্কিন নাগরিকদেরও মোদীকে নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে। হিউস্টনের মেয়র সিলভাস্টার টার্নার জানিয়েছেন, মোদীর সঙ্গে মিলিত হতে তিনি মুখিয়ে আছেন। তিনি আরও বলেন, ভারত ও টেক্সাসের মধ্য়ে ইতিমধ্য়েই বানিজ্যিক, সাংস্কৃতিক ও পর্যটনকে কেন্দ্র করে নিবিড় মেলবন্ধন রয়েছে। এই বন্ধন নরেন্দ্র মোদীর আগমনে আরও মজবুত হবে বলে তাঁর আশা।
আরও পড়ুন - কাশ্মীর ইস্যুতে আর হস্তক্ষেপ নয় আমেরিকার, পাকিস্তানকে ধাক্কা দিয়ে জানালেন ট্রাম্প
আরো পড়ুন - কুমির ধরেও কেন পোষা হয়নি, গল্প শোনালেন প্রধানমন্ত্রী
আরো পড়ুন - কাশ্মীর নিয়ে বদলায়নি মার্কিন নীতি, দুই দেশকে শান্তি প্রতিষ্ঠার আর্জি জানাল ট্রাম্প সরকার
এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তৃতীয়বারের আর পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পরে প্রথমবারের জন্য মার্কিন সফরে যাচ্ছেন মোদী। এর আগে ২০১৪ সালে নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেন এবং ২০১৬ সালে সিলিকন ভ্যালিতে একই ধরণের অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
এইবার মার্কিন সফরে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অন্য একটি বড় লক্ষ্য রয়েছে। হিউস্টনকে বলা হয় বিশ্বের শক্তি রাজধানী। অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদীর প্রাধান্যের তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে, দেশের জ্বালানি সুরক্ষিত করা। মার্কিন সেনেটর জন কর্নিন বলেছেন, নিরাপত্তা ও অর্থনীতির দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু ভারত। মোদীর সফরে এই বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হবে বলেই তিনি মনে করছেন।