সংক্ষিপ্ত
এই সাইটে চাহিদা অনুযায়ী ভিডিও স্ট্রিমিং করা হবে। তবে তা বিনামূল্যে দেখা যাবে না। যাঁরা সাবস্ক্রিপশন নেবেন তাঁরাই একমাত্র সেই ভিডিওগুলি দেখতে পারবেন। থাকবে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানও।
একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তিনি। আর তার জেরে তাঁর সেই পোস্ট সরিয়ে দিয়েছে ফেসবুক (Facebook), টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলি। এমনকী, তাঁর অ্যাকাউন্টও ডিলিট (Account Delete) করে দেওয়া হয়েছে। তারপর কেটে গিয়েছে অনেকগুলো মাস। আর এবার নিজের কোনও মতামত জানানোর জন্য অন্য সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভর করতে চান না প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তার পরিবর্তে এবার তিনি নিজেই বাজারে আনছেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।
সম্প্রতি একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়, একজন বিখ্যাত ব্যবসায়ী হিসেবে এই নতুন সোশ্যাল সাইটের কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। তাঁর সংস্থা ট্রাম্প মিডিয়া ও টেকনোলজি গ্রুপ (Trump Media and technology group) এই নয়া সাইটি বাজারে আনবে। এই নতুন সাইটের নাম দিয়েছেন 'ট্রুথ সোশ্যাল'(TRUTH Social)। নভেম্বর থেকেই আমন্ত্রিত সদস্যদের নিয়ে শুরু হতে চলেছে এই সাইট। এই সাইটে চাহিদা অনুযায়ী ভিডিও স্ট্রিমিং করা হবে। তবে তা বিনামূল্যে দেখা যাবে না। যাঁরা সাবস্ক্রিপশন নেবেন তাঁরাই একমাত্র সেই ভিডিওগুলি দেখতে পারবেন। থাকবে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানও।
আরও পড়ুন- প্রকৃতির ধ্বংসলীলা নেপালে, বন্যা-ভূমিধ্বসে মৃত ৮৫ জনেরও বেশি
এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের তরফে জানানো হয়েছে, "বড় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমি ট্রুথ সোশ্যাল সাইটটি তৈরি করেছি। বর্তমানে আমরা এমন এক পৃথিবীতে (World) বসবাস করছি যেখানে তালিবানের (Taliban) মত সংগঠন টুইটার (Twitter) ভীষণভাবে সক্রিয়। কিন্তু তারপরেও আপনাদের প্রিয় আমেরিকান প্রেসিডেন্ট (American President) নিশ্চুপ। এটা মেনে নেওয়া যায় না।"
আরও পড়ুন- 'দেশটা কি পাকিস্তানে পরিণত হচ্ছে ', বাংলাদেশকাণ্ডে সরব অপর্ণা, 'প্রলাপ' বলে কটাক্ষ তথাগতর
এই সাইট ফেসবুক ও টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মগুলিকে চ্যালেঞ্জ জানাবে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। তাঁর কথায়, "নতুন যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আসছে তা টেক জায়ান্টদের একছত্র অধিকারকে চ্যালেঞ্জ জানাবে। এই প্ল্যাটফর্ম হবে নিরপেক্ষ। সকলে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন।"
২০২০ সালের নভেম্বরে আমেরিকায় নির্বাচনে হারের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ররোচনামূলক মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। তার জেরেই ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে তাণ্ডব করে তাঁর সমর্থকরা। সেই হামলার জেরে প্রাণহানিও ঘটেছিল। এরপরই বিদ্বেষমূলক টুইট করার জন্য টুইটার থেকে তাঁর অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত সেখানে তাঁর কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ব্যবসার জন্য ট্রাম্প এই সাইট তৈরি করলেও আদতে তার মাধ্যমে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন করবেন তিনি। আর সেখান থেকেই বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেবেন।
আরও পড়ুন, 'প্রয়োজনে বাংলাদেশে প্রতিনিধি দল পাঠাবে দিল্লি', হিংসাকাণ্ডে হুঁশিয়ারী নিথীথ-শুভেন্দুর
তবে এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম। সেগুলি ছাড়া এখন মানুষের জীবন প্রায় অন্ধকার বলা চলে। এই সাইটগুলির ধারে কাছে আসতে পারেননি বহু সাইট। ফলে সেক্ষেত্রে এই বাজারে এই সাইটগুলির সঙ্গে ট্রুথ সোশ্যাল কতটা টক্কর দিতে পারে এখন সেটাই দেখার বিষয়।