সংক্ষিপ্ত
মহামারীতেই ধনী হলেন মার্কিন অধ্যাপক
এক বিলিয়ন ডলারের মালিক হলেন তিমোথি স্প্রিংগার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ধনী শিক্ষাবিদ
হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের অধ্যাপক তিমোথি স্প্রিংগার। করোনাভাইরাসের এই সংক্রমণের মহামারী যাঁদের ধনী করছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম ৭২ বছরের এই অধ্যাপক। ২০১৮ সালে একাধিক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিমোথি বলেছিলেন তাঁর কাছে পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে। যা তাঁর প্রয়োজন নেই। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আরও অর্থ এল তাঁর ঘরে। ব্লুবার্গ বিলিয়নার সূচক অনুযায়ী প্রায় এক বিলিয়ন ডলার লাভ করেছেন তিমোথি। আর তাতেই মহামারী বিশ্বে যেসব মানুষকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছেন তাঁদের তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান অর্জন করেছেন তিনি।
বছর দুয়েক আগেই হার্ভার্ডের এই অধ্যাপক মোদার্নায় আর্থিক বিনিয়োগ করছিলেন। বর্তমানে এই সংস্থাটি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আর ওষুধের খোঁজে পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। এই সংস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানব সেবা মন্ত্রক ৪০০ মিলিয়নেরও বেশি মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সংস্থান অনুদান দিয়েছে। তাঁর তাতেই শেয়ারের দাম বেড়েছে মোদার্না নামের ওই সংস্থার। তার ফল স্বরূপ লাভের গুড়ের ভাগ পাচ্ছেন অধ্যাপকও। একটি সূত্র বলছে ৬ মাস আগেও এই সংস্থার প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১৭ ডলার। বর্তমানে এই সংস্থার শেয়ারের দাম হয়েছে ৫১ ডলার। সংস্থার শেয়ারের দাম বাড়ায় অধ্যাপক লগ্নির প্রায় ১৭ হাজার শতাংশ টাকা বেশি ফিরে পেয়েছে।
আর এক বিলিয়নের বেশি আর্থ থাকায় তিমোথি স্প্রিংগার বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবথেকে ধনী শিক্ষাবিদেক তালিকায়ও চলে এসেছেন। তিমোথি শুরুমাত্রা একটি সংস্থাতেই বিনিয়োগ করেনি। সিলেক্টা বায়োসায়েন্স, এডিটাস মোডিসিনর মত সংস্থাতেও বিনিয়োগ করেছিলেন। আগামী দিনে সেখান থেকেই প্রচুর অর্থলাভের সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। তবে স্প্রিংগার প্রোটিন ইনোভেশন ইনস্টিটিউন নামে একটি অলাভজন সংস্থাও চালান। সেই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য অ্যান্টিবডির খোঁজ করা। পাশাাশি দেহের তৈরি অ্যান্টিবডিগুলির ওয়েন সোর্সও তৈরি করে তাঁর সংস্থা।
আরও পড়ুনঃ আমেরিকার উল্টো পথে হাঁটল চিন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আরও অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা ...
আরও পড়ুনঃ সাফল্য দেখেও থামতে নারাজ কেরল, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে আরও বড় লড়াইয়ের প্রস্তুতি ...