সংক্ষিপ্ত
তাইওয়ানের (Taiwan) অবস্থা এবং উত্তর কোরিয়ার (North Korea) হুমকির মধ্য়ে কড়া বার্তা মার্কিন নৌবাহিনীর (US Navy)। গুয়ামে (Guam) মোতায়েন করা হল ইউএসএস নেভাডাকে (USS Nevada)।
কেঁপে গেল চিনের (China) বুক। স্ব-শাসিত দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানের (Taiwan) অবস্থা এবং উত্তর কোরিয়ার (North Korea) ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা নিয়ে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে (Indo-Pacific Region) ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই প্রতিপক্ষ শক্তিগুলিকে কড়া বার্তা পাঠালো মার্কিন নৌবাহিনী (US Navy)। গুয়ামে (Guam) মোতায়েন করা হল মার্কিন পারমাণবিক-চালিত সাবমেরিন, ইউএসএস নেভাডা (USS Nevada)। গত শনিবার, প্রথমবারের ইউএসএস নেভাডা'কে দেখা গেল অ্যাপরা বন্দরে (Apra Harbour)।
১৯৮০-র দশকের পর থেকে, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন নৌবাহিনীর সাবমেরিনকে গুয়ামে দেখা গেল। এর আগে ২০১৬-তে পারমাণবিক শক্তি চালিত ইউএসএস পেনসিলভানিয়া (USS Pennsylvania) নোঙর করেছিল গুয়ামে। ইউএসএস নেভাডাকে মোতায়েনের পর, মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মিত্রশক্তিদের জন্য মার্কিন নৌবাহিনী সর্বদা উপলব্ধ। মার্কিন নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে খুব কমই তাদের পারমাণবিক-চালিত সাবমেরিনগুলির গতিবিধির খবর দেওয়া হয়। সাধারণত অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। তাই এটা মার্কিন বাহিনীর একটা বিবৃতি বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - ১৬ জন সেনাকে নিয়ে ডুবে গেল মার্কিন উভচর ট্যাঙ্ক, নিখোঁজদের খোঁজে তোলপাড় সমুদ্র
ইউএস নেভাডা একটি ওহাও-শ্রেণীর সাবমেরিন (Ohio-class Submarine)। এটি ২০ টি ট্রাইডেন্ট ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (Trident Ballistic Missiles) এবং কয়েক ডজন পারমাণবিক ওয়ারহেড (Nuclear Warheads) উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম। মার্কিন নৌবাহিনীতে এই ধরণের মোট ১৪ টি সাবমেরিন রয়েছে। এগুলির ডাকনাম 'বুমার' (Boomer)। মার্কিন নৌবাহিনীর ফ্যাক্ট ফাইল বলছে, 'বুমার' সাবমেরিনগুলি গোপনে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি উৎক্ষেপণের প্ল্যাটফর্ম, বিশেষত পারমাণবিক ওয়ারহেডগুলিকে গোপনে এবং নির্ভুলভাবে উৎক্ষেপণের জন্য নকশা করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা ও সামরিক কৌশল বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সুধাকর জি (Major General Sudhakar Jee (R)) এশিয়ানেট নিউজ'কে জানিয়েছেন, তাইওয়ানের কৌশলগত অবস্থানের জন্য, এই দ্বীপরাষ্ট্র দক্ষিণ চিন সাগরে (South China Sea), চিনের (China) কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে একটি আদর্শ সামরিক ঘাঁটি। উপরন্তু, চিনা সামরিক বাহিনী তাইওয়ানের প্রথম দ্বীপের কাছে রেলপথে চলাচল করে। গুয়াম নৌ-ঘাঁটির তাৎপর্য সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এই মার্কিন দ্বীপটিতে দুটি বড় ঘাঁটি রয়েছে - উত্তরে অ্যান্ডারসেন বিমান-ঘাঁটি (Andersen Air Force Base) এবং দক্ষিণে গুয়াম নৌ-ঘাঁটি (Guam Naval Base)। চারটি পারমাণবিক শক্তিচালিত ফাস্ট অ্যাটাক সাবমেরিন এই নৌঘাঁটিতে রয়েছে। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপটিকে মার্কিনিরা একটি ওয়াচ পোস্ট হিসাবে ব্যবহার করে। কিন্তু প্রয়োজনে, এটি একটি লঞ্চপ্যাডও হয়ে উঠতে পারে।