করোনাভাইরাস আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বকেনিজেকে সুরক্ষিত করতে গিয়ে অনেকেই বিভিন্ন উদ্ভট কাজ করছেপরীক্ষার খাতা দেখতে গিয়ে আতঙ্কিত হলেন এক অধ্যাপক-ওআর তাতেই ঘটালেন অগ্নিকাণ্ড

করোনাভাইরাস আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বকে। আর তাতেই নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে উদ্ভট উদ্ভট কাজ করা হচ্ছে। কোথাও 'করোনা ভাগ যা' করে গান গাওয়া হচ্ছে, কোথাও কেউ নিজেকে আপাদমস্তক প্লাস্টিকে না মুড়ে বাইরে বের হচ্ছেন না। এইসব আজব ঘটনার তালিকাতেও জুড়ে গেল এক অধ্যাপকের কীর্তিও। পরীক্ষার উত্তরপত্রের মাধ্যমে যাতে করোনাভাইরাস সংক্রামিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে গিয়ে তিনি একেবারে অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন।

আরও পড়ুন - করোনার টিকা তৈরি করছে ভারতীয় গবেষণা সংস্থা, কবে আসবে বাজারে

ওই অধ্যাপক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। এক ছাত্রী তাঁর এই কাণ্ডের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দিয়েছেন। এক পোস্টে তিনি জানান, ওই অধ্যাপক তাদের উত্তরপত্রে করোনাভাইরাস নেই তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। আর তার জন্য তিনি গোটা উত্তরপত্রের গোছা ধরে মাইক্রোওভেনে ঢুকিয়ে মাইক্রোওভেন চালু করে দেন। আর তাতে উত্তরপত্রে আগুন লেগে সবকটি উত্তরপত্র পুড়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন - করোনার থাবায় স্তব্ধ ক্রীড়া বিশ্ব, চলছে শুধু 'খেলা ভাঙার খেলা'

Scroll to load tweet…

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ের মধ্যে ওই পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বহু মানুষ টুইট পোস্টটি লাইক করেছেন, বহু মানুষ সেটি রিটুইট করেছেন। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় রয়েছে কমেন্টস সেকশনে। একাংশের নেটিজেনরা ওই অধ্যাপকের নির্বুদ্ধিতার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, আবার আরেক অংশ ঘটনাটিতে দারুণ মজা পেয়েছেন।

আরও পড়ুন - দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত, স্টেডিয়ামগুলিকে হাসপাতাল বানানোর পরামর্শ

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, উত্তরপত্র সংগ্রহ এবং তাতে নম্বর দেওয়ার মধ্যে প্রায় তিন সপ্তাহের ফারাক থাকে। 'নির্বোধ' অধ্যাপক জানেন না যে এতদিন করোনাভাইরাস বেঁচে থাকতে পারে না। অন্য একজন মনে করিয়ে দিয়েছেন উত্তরপত্রগুলি মুখে স্পর্শ না করে বা না চেটে সেগুলি দেখে শুনে নম্বর দিয়ে তারপর হাত ধুয়ে ফেললেই হতো। এরজন্য মাইক্রোওভেনে ঢুকিয়ে জীবানু মারার চেষ্টা করার দরকার ছিল না।

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…