সংক্ষিপ্ত

  • বিজেপির প্রার্থী তালিকা বেরোনোর পর হামলা ও ভাংচুর চলে রায়গঞ্জে
  • কারণ অনেক দলীয় কর্মীরাই বিজেপির প্রার্থী পদে নিজেদের নাম পাননি
  •  মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে টিকিট বিলির অভিযোগও ওঠে 
  • এমনসময়ে  প্রার্থী না হতে পেরেও উলটপূরাণ রায়গঞ্জের বিজেপি কর্মীর

 

 
আবেদন করে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হতে না পেরে চরম খুশি রায়গঞ্জের বিজেপি কর্মী কমল রাজবংশী। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুর জেলায় বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পরেই জেলাজুড়ে প্রার্থী বদলের দাবীতে বিজেপি কর্মীরা একাধিক  দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে।ব্যতিক্রম শুধু কমল রাজবংশী। 

আরও পড়ুন, '৭০ বছর অনেককে সুযোগ দিয়েছেন-এবার BJPকে দিন', 'মিনি ভারত- খড়গপুর'-এ অনুরোধ মোদীর  


প্রার্থী বদল না করা হলে টেলিফোনে জেলা সভাপতিকে আত্মহত্যার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। জেলা থেকে নিজে প্রার্থী হতে চেয়ে প্রায় হাজারখানেক দরখাস্ত অনলাইনে জমা পড়েছে। শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হতে না পেরে প্রায় সকলেই হতাশ। স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে টিকিট বিলির অভিযোগ তুলে জেলার ওবিসি মোর্চার জেলার সহ সভাপতি মদন বিশ্বাস নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।ব্যতিক্রম কমল রাজবংশী। 

 

আরও পড়ুন, 'দিল্লিমে কেয়া কিয়া-লাড্ডু কিয়া', পাশকুড়া থেকে মোদীকে তোপ মমতার 

 

কমল রাজবংশী। বছর তিরিশের এই যুবক বিজেপি কর্মী। রায়গঞ্জ শহরের বিজেপির  জেলা  কার্যালয়ে বিগত ১২ বছর ধরে  কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করে। রাতে কার্যালয়েই নাইট গার্ডের কাজ করে। নিজের ইচ্ছে হয়েছিল আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ আসনে প্রার্থী  হওয়ার। সেইমতো দলের নিয়ম মেনে নিজের বায়োডাটা বানিয়ে প্রার্থী হতে চেয়ে অনলাইনে ও বিজেপির জেলা সভাপতির কাছে লিখিত দরখাস্ত করেন। দল থেকে রায়গঞ্জ আসনে কৃষ্ণ কল্যানীকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়। এতে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক অনেকেই হতাশ হলেও ব্যতিক্রম কমল।

আরও পড়ুন, 'দিদিকে গণতন্ত্র ধ্বংস করতে দেওয়া যাবে না', মোদীর কথায় ঢেউ খেলল খড়গপুরের জনসমুদ্রে, দেখুন ছবি 

 

কমল রাজবংশী নামে ওই যুবক জানিয়েছে, 'আমি বিজেপি সমর্থক। কার্যালয়ে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে আমি কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করছি।এবার দল থেকে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের ওপেন দরখাস্ত করার সুযোগ  দেওয়া হয়। আমি নিজে প্রার্থী হতে চেয়ে আমার বায়োডাটা দিয়ে অনলাইনের পাশাপাশি জেলা সভাপতির কাছেও লিখিত আবেদন জমা করি।প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর দেখি আমাকে  বাদ দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই একটু মন খারাপ হয়েছিল। কিন্তু তারপরই এই প্রার্থী নিয়ে জেলা কার্যালয়ে যে পর্যায়ে হামলা, গালাগালি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটল, তারপর মনে হচ্ছে, ভাগ্যিস আমি প্রার্থী হইনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রার্থী হতে না পেরে চরম খুশি আমি। খুব মুক্ত মনে আমি দলের কাজ করতে পারব। '