সংক্ষিপ্ত
- বহরমপুর শহর জুড়ে জোর গুঞ্জন সর্বত্র
- মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে ব্যতিক্রম
- ভেঙে চুরমার হয়ে গেল অধীরের খাসতালুক
- দ্বিগুণ ভোটে জয় এনেছে গেরুয়া শিবির
ভোট মিটলেও, বহরমপুর শহর জুড়ে সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন সর্বত্র। কংগ্রেস অফিস ফাঁকা থাকলেও, শহরের বুকের রাধিকা মোহন সেন রোড এর গেরুয়া শিবিরের কার্যালয় ঘিরে বাড়ছে মানুষের উৎসাহ। এমন বৈপরীত্য মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে একেবারেই ব্যতিক্রমী।
আরও পড়ুন, তৃণমূলের ঐতিহাসিক জয়ের পরেই BJP কার্যকর্তাকে পিটিয়ে খুন, শোকের ছায়া বেলেঘাটায়
পদ্মফুলের কাটা পড়লো কংগ্রেসের 'হাত'। ভেঙে চুরমার হয়ে গেল অধীরের খাসতালুক বহরমপুর। ঘাসফুলকে সরিয়ে রেকর্ড পরিমাণ ভোটে হাত চিহ্নের প্রার্থীকে হারিয়ে কমল ফুটল বহরমপুর রবিবার।আর এরপর থেকেই সন্ধ্যে থেকে পুরো সদর শহর জুড়ে একটাই চর্চা একটাই আলোচনা কি করে সম্ভব হল এই ঘটনা। শেষ পর্যন্ত অধীরের নিজের খাস তালুকে তার সেনাপতি মনোজ চক্রবর্তী এমন ধরাশায়ী অবস্থা কিভাবে হল, যেখানে তাকে বিজেপি প্রার্থী সুব্রত মৈত্র ওরফে কাঞ্চন এর কাছে দ্বিগুণেরও বেশি ভোটে হারতে হলো চূড়ান্ত ফলাফলে।যেখানে অধীর এর সেনাপতি বলে পরিচিত মনোজ চক্রবর্তী সর্বসাকুল্যে পেয়েছেন ৩৯,৩৭৭টি ভোট ।আর গেরুয়া শিবিরের জয়ী দ্বিগুণ ভোটে সুব্রত মৈত্র পেয়েছেন ৮৭,৭৫৯ ভোট। এর পরেই রীতিমতো কংগ্রেস কার্যালয়ে অন্ধকারের ছায়া নেমে এসেছে।
এমন অভূতপূর্ব জয় পেয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুব্রত বাবু বলেন,' এই জয় নরেন্দ্র মোদীর জয়।মুর্শিদাবাদের মানুষ তথা বহরমপুর এর মানুষ ইতিহাস রচনা করলো আগামী দিনে তা মাইলফলক হয়ে থাকবে।' পাল্টা পরাজিত মনোজ চক্রবর্তী অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের মত খানিকটা সংরক্ষণ শীল বক্তব্য দিয়ে বলেন,"জয় পরাজয় তো আছেই এটা নতুন আর কি জিত যেমন আছে তেমনই হারটা কেউ আমাকে মেনে নিতে হবে।'