সংক্ষিপ্ত
ভোট কিনতে অর্থ কুপন ছড়াচ্ছে বিজেপি
এমনই অভিযোগ তৃণমূলের
১ হাজার টাকার ক্যাশ কুপন দেওয়া হচ্ছে
ব্যবস্থা নিতে আবেদন নির্বাচন কমিশনে
শুধু মোদীর সভায় যেতে হবে, আর ভোটটা বিজেপিকে দিতে হবে। তাহলেই ভোটের পর মিলবে ১ হাজার টাকা!
আগামী শনিবার, ১০ এপ্রিল বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার নির্বাচন। আর তার আগে বুধবার বিজেপির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সকালে তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় অভিযোগ করেন, ভোট কিনতে বাড়ি বাড়ি এই রকম ১ হাজার টাকার কুপন বিলি করছে বিজেপি। নির্বাচনের সময় সরাসরি অর্থ দিলে কমিশনের চোখে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে, তাই কুপন বিলি করে অর্থের আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।
এই সেই বিতর্কিত কুপন
"
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ বলেন, '১ এপ্রিল থেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যাওয়ার জন্য এবং বিজেপি-কে ভোট দেওয়ার জন্য ক্যাশ কুপন দেওয়া হচ্ছে। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুপন বিলি করছেন বিজজেপি কর্মীরা।' তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই কুপনে নরেন্দ্র মোদীর ছবি দিয়ে ১ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি কীভাবে এড়িয়ে গেল, তাই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুখেন্দুশেখর। তবে এই বিষয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে, এবং বিষয়টি তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
তৃণমূল নেত্রী তথা বিদায়ী মন্ত্রী শশী পাঁজা বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা কুপনটির একটি ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর দাবি, তিন দফা নির্বাচনের পরই বিজেপি বুঝে গিয়েছে যে জনসমর্থন তাদের সঙ্গে নেই। তাই এখন ভোট জেতার জন্য অর্থের প্রলোভন দেখাতে হচ্ছে। কটাক্ষ করে বলেছেন, 'সভা ভরাতে যাদের ১০০০ টাকার কুপন দিয়ে লোক আনতে হচ্ছে, তারা নাকি আবার বাংলায় সরকার গড়বে।' তিনিও এই বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন।
আরও পড়ুন - বঙ্গের কোন কোন কেন্দ্রে সহজে জিতবে বিজেপি, কোথায় লড়াই কঠিন - কী বলছে দলের গোপন বিশ্লেষণ
আরও পড়ুন - মুর্শিদাবাদে বোমাবাজিতে মৃত্যু মহিলাসহ দু'জনের, তৃণমূলকেই দুষলেন কংগ্রেস বিধায়িকা
আরও পড়ুন - বাদ 'জয় শ্রীরাম', ভরসা নিজের কাজ - শুভেন্দুর থেকেও কঠিন পরীক্ষায় এবার রাজীব, দেখুন
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা অস্বীকার করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অন্যতম নেতা জানিয়েছেন, 'সবটাই তৃণমূলের মস্তিষ্কপ্রসূত। হেরে যাবেন বলে এসব বলছেন।' তবে, বিজেপির বিরুদ্ধে, সভায় লোক আনতে এবং ভোট ক্রয়ের জন্য অর্থ বিতরণের অভিযোগ অনেক আগে থেকেই করছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই প্রচারসভায় বলেন, বিজেপি টাকা দিলে,সেই টাকা নিয়ে তৃণমূলকেই ভোট দিতে। মঙ্গলবারও রাজ্যে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন। মোদী বলেছিলেন, মমতা এইসব কথা বলে বাংলার মানুষকে অপমান করছেন। একদিন পরেই এই কুপন কাণ্ড সামনে আনল তৃণমূল।