সংক্ষিপ্ত
- ১৩ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি
- নাম নেই মিঠুন চক্রবর্তীর
- তালিকায় ঠাঁই পেলেন না সোনালি গুহ
- টিকিট পেয়েছেন বড়মার নাতি
১৩ টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। কিন্তু সেই তালিকাতেও ঠাঁই পেলেন না সোনালী গুহ। নাম নেই মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর। প্রার্থী হতে যাতে কোনও অসুবিধে না হয় তার জন্য সদ্যোই কলকাতার ভোটার হয়েছিলেন বলেও সূত্রের খবর। তবে এবার প্রার্থী করা হয়েছে অশোক লাহিড়ীকে। বিজেপির শেষ প্রার্থী তালিকায় বড় চমক হল সুব্রত ঠাকুরের নাম। মতুয়া ভোটের লক্ষ্যে এবার গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছে বড়মার নাতি সুব্রত ঠাকুরকে। প্রথম শান্তনু ঠাকুরের কথাই চিন্তাভাবনা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সম্মতি না দেওয়ায় প্রার্থী করা হয়েছে সুব্রতকে।
এক ঝলকে বিজেপির প্রার্থী তালিকা
কেন্দ্র প্রার্থী
গাইঘাটা সুব্রত ঠাকুর
করণদিঘি সুভাষ সিনহা
ইটাহার অমিত কুণ্ডু
বাগদা বিশ্বজিৎ দাস
বনগাঁ(উঃ) অশোক কীর্তনীয়া
বালুরঘাট অশোক লাহিড়ী
রাসবিহারী সুব্রত সাহা
চৌরঙ্গী দেবব্রত মাঝি
কাশীপুর-বেলগাছিয়া শিবাজি সিংহ রায়
পাহাড়ারে তিন কেন্দ্রেও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। কালিম্পং-এর প্রার্থী করা হয়েছে শুভা প্রধান, দার্জিলিং-এর প্রার্থী করা হয়েছে নীরজ তামাং জিমবা। আর কার্শিয়াং-এর প্রার্থী বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা।
তবে শেষ এই তালিকাতে নাম নেই মিঠুন চক্রবর্তী ও সোনালী গুহর মত হেভিওয়েটদের। বিজেপি সূত্রের খবর ছিল 'এমএলএ ফাটাকেষ্ট'র জন্য আসন সংরক্ষিত ছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন তাঁকে কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্রে প্রার্থী করা হবে। কিন্তু এই কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছে শিবাজি সিংহ রায়কে। অথচ নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেডের সভাতেই পদ্মপাতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন মিঠুন। সেই সঙ্গে নিজেকে কোবরা বলে হুংকার ছেড়েছিলেন। সেই সময়ই তিনি বলেছিলেন দল তাঁকে যে কাজের দায়িত্ব দেবে তা তিনি পালন করবেন। যদিও সুত্রের খবর বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রচারে ঝড় তুলতে মিঠুনকে ব্যবহার করতে পারে বিজেপির।
'ঝাড়খণ্ডে আদিবাসীদের জমি ছিনিয়েছে বিজেপি ভূমির অধিকার দিয়েছে তৃণমূল', পুরুলিয়ার জনসভায় সরব মমতা ...
বাংলায় ভোট-যুদ্ধে সামিল হবে মিম, ওয়াইসি সবকিছু ঘোষণা করবেন প্রথম দফা ভোটের দিন ...
চৌরঙ্গীরও প্রার্থী তালিকায় বদল আনা হয়েছে। প্রথমে সেখানে প্রার্থী করা হয়েছিল প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের শিখা মিত্রকে। কিন্তু তাতে তিনি প্রবল আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি। তারপর সেই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে দেবব্রত মাঝিকে। আলিপুরদুয়ার থেকে সরিয়ে এনে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ীকে টিকিট দেওয়া হয়েছে বালুরঘাটের। তবে টিকিটের আসায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পাতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন সিঙ্গুর আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সহযোগী সোনালি গুগ। শেষ তালিকাতেও খুঁজে পাওয়া গেল না তাঁর নাম। দলবদল করলেও সোনালির রাজনৈতিক নির্বাসন ঠেকানো গেল না বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।