সংক্ষিপ্ত
- তৃণমূল বিধায়ক মনোদেবের মন রাখলেন কানাইয়ালাল
- 'অন্য়ায়' নয় তালে তাল মেলালেন জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক
- বিধায়কের এই ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদে বিজেপি জেলা সভাপতি
- এতকিছুর পরও মুখ্যমন্ত্রী চুপ কেন, প্রশ্ন তুলেছেন বাবুল সুপ্রিয়
কোভিড যোদ্ধাদের বরাদ্দ টিকা নিলেন তৃণমূল বিধায়ক। আর নিয়ে শুরু বিতর্ক। যদিও অন্যায় খুঁজে পাচ্ছেন না তৃণমূলের ভরাডুবির মুহূর্তে উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘির তৃণমূল বিধায়ক মনোদেব সিংহ। উপরন্তু তার সুরেই সুর মেলালেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। আর তৃণমূল বিধায়ক-নেতা-কর্মীদের এহেন ঘটনার পর রবিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে একহাত নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সবাপতি দিলীপ ঘোষ। এবং তীব্র আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
আরও পড়ুন, 'ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত', সায়নীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন BJP নেতা তথাগত
মনোদেবের মন রাখলেন কানাইয়ালাল, উত্তর দেবে কি ২০২১ এর নির্বাচন
উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘির তৃণমূল বিধায়ক মনোদেব সিংহ করোনা ভ্যাকসিনের টীকা নেওয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিধায়কের দাবি তিনি করনদিঘি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান হবার সুবাদে টীকার তালিকায় তার নাম ছিল। সেই তালিকায় নাম থাকার কারনে তিনি করোনা টীকা নিয়েছেন। বিধায়ক এই টীকা নেওয়াকে কোনও অন্যায় দেখছেন না জেলা তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল।
বিধায়কের এই ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদে বিজেপি জেলা সভাপতি
তৃণমূল এটা অন্যায় হিসেবে না দেখলেও, বিধায়কের এই ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিজেপি। বিজেপি জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর অভিযোগ, সাধারন মানুষের কথা না ভেবে বিধায়ক লুকিয়ে টীকা নিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। উত্তর দিনাজপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কার্তিক চন্দ্র মন্ডল টেলিফোনে জানিয়েছেন, বিধায়ক করনদিঘি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান হবার সুবাদেই তিনি করোনা টীকা পেয়েছেন। যদিও এই বাংলার জুড়ে ঘটনার পর, 'তৃণমূল নেতারা কাটমানির মতই ভাগাভাগি করে নিয়েছেন কেন্দ্রের ভ্যাকসিনও', তোপ দিলেন দিলীপ ঘোষও।
আরও পড়ুন, 'কাটমানির মতই ভাগাভাগি কেন্দ্রের ভ্যাকসিনও', তৃণমূল নেতাদের তোপ দিলীপের .
টিকা নিয়ে কী ছিল আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ
প্রসঙ্গত, শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষনার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে করোনা টীকা দেওয়া শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মি,চিকিৎসক,নার্সিং ষ্টাফ এবং স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত কর্মিরা এই টীকা পাবেন। এদিকে শনিবার অন্যদের মধ্যে টীকা নিয়েছেন করনদিঘির তৃনমূল কংগ্রেস বিধায়ক মনোদেব সিংহ। বিজেপি তাঁর টীকা নেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছে।
আরও পড়ুন, ভ্যাকসিন নিতেই অসুস্থ কলকাতার এক নার্স, NRS-র ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে তিনি চিকিৎসাধীন .
বিধায়কের সুরেই জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক
বিজেপি জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর অভিযোগ, করনদিঘির বিধায়ক মনোদেব সিংহ সাধারন মানুষের কথা না ভেবে নিজের কথা ভেবেই লুকিয়ে টীকা নিয়েছেন।বিধায়ক অবশ্য টীকা নেওয়া অন্যায় কিছু দেখছেন না।তিনি রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান হবার সুবাদেই তার নাম তালিকায় রাখা হয়েছে। তাই তিনি টীকা নিয়েছেন। বিধায়কের মতো একই মতামত প্রকাশ করেছেন জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক।
আরও পড়ুন, সোনারপুর হাসপাতালে শুরু টিকাকরণ কর্মসূচি, ভ্য়াকসিন নেওয়ার পরে সুস্থ সবাই
'নির্লজ্জভাবে টিকা নিচ্ছেন', বললেন বাবুল
সারা বাংলার ঘটে যাওয়া এই ভ্যাকসিন কাণ্ডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেছেন, 'তৃণণূলের নেতারাই আগে নিয়ে নিচ্ছে। যারা কোভিড যোদ্ধা তাহলে তারা যাবেন কোথায়। তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, একটা দল আদর্শগতভাবে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তাঁরা এটা জানেন যে, চারিদিকের মানুষ এত রেগে আছেন যে , টিকা নিজেরা না নিলে নিজেরাই ইনজেক্সন দিয়ে দেবেন। এই ভয় থেকে নিজেরাই নির্লজ্জভাবে টিকা নিচ্ছেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী এই সম্বন্ধে কোনও কথাও বললেন না। দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমাদের খুব শীঘ্রই পার্লামেন্ট সেশন শুরু হবে। আমাদের নীতি সবার আগেই স্বাস্থ্য কর্মী-কোভিড যোদ্ধারা, আমরা তার অনেক পরে। এটাই হচ্ছে বিজেপি। এই আইডিওলজিতে বিশ্বাস করেন প্রধান মন্ত্রী মোদী।'