সংক্ষিপ্ত

  • নন্দীগ্রামের ঘটনার পর কেটেছে ৪ দিন 
  • কড়া পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন 
  • সরিয়ে দেওয়া হল জেলা শাসক পুলিশ সুপারকে
  • মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বলয়তেও পরিবর্তন 

নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আপাতত তাঁদের নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে না। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি প্রবীণ প্রকাশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নিরাপত্তার ব্যার্থতার অভিযোগ দায়ের করা হতে পারে। 


গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারের সময় আহত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই  ঘটনার তাৎক্ষণিত প্রভাব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিবেক সহায়কে সাময়িক বরখান্ত করা হয়েছে। বিবেক সহায়ের বিরুদ্ধে এক সপ্তাহের মধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হবে বলেও সূত্রের খবর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান আর নিরাপত্তার দায়িত্বেই ছিলেন বিবেক সহায়।  ১০ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে আঘাত পাওয়ার পরেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। সূত্রের খবর রাজ্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়ার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এদিন নির্বাচনী বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই  সঙ্গে সেলিব্রিটি প্রচারকদেরও নির্বাচনি বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

১০ মার্চ নন্দীগ্রামের ঘটনার পর মাত্র চার দিনের মধ্যেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার দুপুর তিনটের মধ্যে বিবেক সহায়ের জায়গায় নতুন নিরাপত্তা অধিকার্তা নিয়োগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশের জায়গায় আনা হচ্ছে ২০০৯ ব্যাচের আইপিএস সুনীল কুমার যাদবকে। জেলা শআসক বিভু গোয়েলরে জায়গায় আনা হচ্ছে স্মিতা পাণ্ডেকে। 

নির্বাচন কমিশনের দাবি নন্দীগ্রামের ঘটনা কোনও পূর্বপরিকল্পিত বা চক্রান্ত নয়। তবে নির্পাত্তার গাফিলতি ছিল বলেও জানিয়েছে কমিশন। জেড প্লাস নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এজাতীয় গাফিলতি কী ককরে হল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্য প্রশাসনকে চিঠি লিখে জানান হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়ে যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা হয়নি।