চার রাজ্যে নির্বাচনে ফল আশানুরূপ নয় দলের অন্দরেই উঠছে প্রশ্ন  মোদীর হাতেই সুখী থাকতে নারাজ কর্মীরা  দলের হারের পর্যালোচনার দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায়   

বাংলা, অসম আর কেরলে রীতিমত খারাপ ফলের কংগ্রেসের অন্দরেই দলে কৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। দলের একাংশ মনে করতে শুরু করেছেন শতাব্দী প্রাচিন দলটি আর কতদিন নরেন্দ্র মোদীর পরাজয় আর ভুলত্রুটি ধরেই সন্তুষ্ঠ থাকবে? একই সঙ্গে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে কবে এই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব হারের পর্যালোচনা করবে? 

কংগ্রেসের মুখপাত্র রাগিনী নায়ের সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে দলের রণকৌশল নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা (কংগ্রেস) খুশি মোদীর হারেই। তাই আমরা কখন নিজেদের হার নিয়ে আত্মসমালোচনা করব। 

Scroll to load tweet…

প্রায় একই রকম বার্তা দিয়েছেন সঞ্জয় ঝাঁ। তিনি বাংলার বিধানসভার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনেও বংলায় ১৬টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু এবার জাতীয় দলটি খাতাই খুলতে পারেনি। কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত মুর্শিদাবদ ও মাদলা রীতিমত প্রভাব বিস্তার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি আসনের দখল নিয়েছে বিজেপি। আর সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেই তিনি বলেছেন বাংলা কংগ্রেস আত্মসমপ্রন করেছেন। যা তাঁকে রীতিমত হতাশ করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন এই ধারাই অব্যাহত উত্তর প্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে। এখানেই থেকে থাকেননি সঞ্জয় ঝাঁ। তিনি বলেন কংগ্রেস যদি একটি কর্পোরেট সংস্থা হত তাহলে সংস্থার সিইও নিশ্চই ইস্তফা দিত। যদি তা নাও হত তাহলেও পদত্যাগের জন্য চাপ তৈরি করা হত। পরিবর্তে নতুন সিইও আর নতুন দল বেছে নেওয়া হত। এটা খুব একটা কঠিন কাজ নয়।ভালো পারফরমেন্সের জন্য এটা খুবই জরুরি বলেও দাবি করেন তিনি। 

Scroll to load tweet…

কেরল রাহুল গান্ধীকে প্রত্যাখান করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমনই বার্তা দিয়েছেন কার্টুনিস্ট পঙ্কজ শঙ্কর। তিনি বলেন রাহুল গান্ধীর মতাদর্শগত অসঙ্গতি আর দেউলিয়াপনার জন্য পশ্চিমবঙ্গও রাহুল গান্ধীকে সমর্থন করেনি। তিনি বলেছেন কেরলে বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে কংগ্রেস। আর বাংলা বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধেই ভোট যুদ্ধে সামিল হয়েছিল। সেখানে কংগ্রেসের মতাদর্শগত অসঙ্গতি ফুটে উঠেছে। আর মানুষের মন থেকে তা দূর করতে ব্যর্থ হয়েছেন রাহুল গান্ধী। 

Scroll to load tweet…

পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস খাতাই খুলতে পারেনি। কেরলে ২১টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। যদিও গতবারের তুলনায় একটি অসম হারাতে হয়েছে। অন্যদিকে অসমে দ্বিতীয় সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হলেও ক্ষমতার ধারেকাছে পৌঁছাতে পারেনি কংগ্রেস। কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ২৯। গতবারের তুলনা.য় ৭টি আসন বেশি পেয়েছে কংগ্রেস। আর তামিলনাড়ুতে ডিএমকের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের আসন সংখ্যা গতবারের তুলনায় ১১টি বেড়ে হয়েছে ১৮। পুদুচেরিতে বড়সড় বিপর্যয়েকর মুখে পড়েছে কংগ্রেস। গতবারে তুলনায় ৯টি আসন কমে যাওযায় কংগ্রেসের আসন সংখ্যা মাত্র ২।