সংক্ষিপ্ত

 

  • মুখ বন্ধ করতেই হামালা 
  • নন্দীগ্রামের ঘটনা প্রসঙ্গে সরব তৃণমূল 
  • নির্বাচন কমিশনের যাওয়ার পরিকল্পনা 
  • জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় 

নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে সরব তৃণমূল কংগ্রেস । দলের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চুপ করাতেই এই হামলা চালান হয়েছে। এটাই তাঁর ওপর প্রথম হামলার ঘটনা নয়। এর আগে দলনেত্রী যখন কৃষকদের হয়ে কথা বলেছিলেন তখনও তাঁর ওপর হামলা চালান হয়েছিল। তবে এজাতীয় ঘটনা তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারবে না বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন আছেন আর থাকবেন। তিনি জনগণের হয়ে কথা বলবেন। 

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর নন্দীগ্রামে হামলার ঘটনার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কাপুরুষের মত আচরণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে থামানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কেউ তাতে সফল হয়নি। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন প্রথমে এডিজি আইন শৃঙ্খলাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর সরানো হল জিডিকে। তারপরই এজাতীয় ঘটনা ঘটন। পুরো ঘটনায় নির্বাচন কমিশন নিষ্ক্রিয় বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি । পার্থ চট্টোপাধ্যায়ে বলেন ঘটনার দায়িত্ব নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। তিনি আরও বলেন দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করবেন। সাংবিধানির কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা পুরো বিষয়টি রাখবেন বলেও জানিয়েছেন। 

হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেল তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন আগামী ২ মে বাংলার মানুষের ক্ষমতা দেখবে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরকে তার জন্য তৈরি থাকারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক। 

তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বার্তা দেওয়া হয়েছে হামলার ঘটনা ঘটলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দমিয়ে রাখা যাবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরই সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেন তৃণমূল কংগ্রেস অনুগামীরা। দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা করেন তাঁরা। হাসপাতালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে এসে গতকাল রাতে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্যপাল  জগদীপ ধনকড়কে। যদিও এখনও পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলার ঘটনায় মুখ খোলেননি নন্দীগ্রামে তাঁর প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারি। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে হামলার ঘটনা উড়িয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে তদন্তের দাবি করা হয়েছে।