কোচবিহার সফরে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে রাজ্যপাল কোচবিহারের হিংসা সন্ত্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান জগদীপ ধনকড় কয়েকজন তাঁকে ঘিরে কালো পতাকা দেখায় তাঁর পথ আটকে বিক্ষোভ দেখায়

কোচবিহার সফরে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কোচবিহারের হিংসা সন্ত্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ ওঠে। বেশ কয়েকজন তাঁকে ঘিরে কালো পতাকা দেখায়। তাঁর পথ আটকে বিক্ষোভ দেখায়। 

Scroll to load tweet…

গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন জঙ্গলে বাস করছে সাধারণ মানুষ। গোটা রাজ্যে কোথাও আইন শৃঙ্খলা নেই। আইন শৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে বাংলায়। রাজ্যপালকে ঘিরে মানুষের বিক্ষোভের মতো ঘটনা কোনওভাবেই মানা যায় না। 

Scroll to load tweet…

ধনকড় এদিন বলেন মানুষ এই রাজ্যে পুলিশের কাছে যেতে ভয় পায়। তাঁদের চোখে পুলিশের জন্য ভয় দেখা গিয়েছে। বাড়ি ঘর লুঠ করা হচ্ছে, এটা কোন গণতন্ত্রের পরিবেশ। এদিন কোচবিহারের দিনহাটায় রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। 

Scroll to load tweet…

এদিকে, মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন তিনি বৃহস্পতিবারই ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিএসএফএর হেলিকপ্টারে চড়ে জেলা সফরে যাচ্ছেন। তিনি কোচবিহারের ভোট সন্ত্রস্ত এলাকা শীতলকুচিতে যাবেন বলেও জানিয়ে ছিলেন। এরপরেই রাজ্যপালের জেলা সফর সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করবে, এই বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে একটি চিঠি পাঠান। 

মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের জেলা সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিঠি লিখে সরাসরি জানিয়ে দেন ' তাঁর এই সফর দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলে আসা প্রথা ও রীতিনীতি লঙ্ঘন করবে। রাজ্য প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের আলোচনা করেই রাজ্যপালের সফরসূচি চূড়ান্ত করা উচিত'। রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের ১৯৯০ সালের ম্যানুয়্যাল অব প্রোটোকল অ্যান্ড সেরিমনিয়্যালস-এর পরিপন্থী বলেও সরব হন মমতা।

এরই প্রেক্ষিতে, এক ট্যুইট বার্তায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানিয়ে দেন, আমি এবং আপনি -দুজনেই সাংবিধানিক দায়িত্বপ্রাপ্ত। শপথ নেওয়ার সঙ্গে আমরা সংবিধান মেনে চলতে বাধ্য। আমি এটা জানি যে, আপনি সংবিধান মানেন। এমনই বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যেশ্যে দেন রাজ্যপাল। তিনি আরও বলেন, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের জন্যই জেলা সফর করছেন। এই পরিস্থিতিতে চটকদারি করা উচিত নয়। সকলকেই একজোট হয়ে কাজ করা উচিত।' প্রয়োজনের বিএসএফের সাহায্য নিয়ে শীতলকুচি যাবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন ধনকড়।