সংক্ষিপ্ত

  • কালিয়াচেক পর এবার মালদহ
  • আবারও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ
  • বিহার থেকে দুষ্কৃীদের এনে অস্ত্র তৈরি
  • নতুন করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু
     

কালিয়াচকের পর হরিশ্চন্দ্রপুর। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই মালদহের পৃথক দুটি জায়গা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে উন্নত মানের দুটি রইফেল, দুটি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি। বিহারের মুঙ্গের থেকে অস্ত্র এনে মালদহে পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। মালদহে লাগাতার অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় নাকা চেকিংয়ের বৃদ্ধির কথা ভাবছে পুলিশ।

আরও পড়ুন-'শাহি' বিমানে রাজধানীর উড়ান রাজীবের, সঙ্গী প্রবীর-বৈশালী-রথীন-রুদ্রনীল

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে বিহার সীমানার মালদহে গোবরাহাট এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, বিহারের মুঙ্গের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র মালদহে আনা হয়েছিল। ধৃত দুই দুষ্কৃতীর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে উন্নত মানের দুটি রইফেল, দুটি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি। এ রাজ্যে বিধানসউন্নত মানের দুটি রইফেল, দুটি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি। এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কী কারনে অস্ত্র আনা হয়েছিল? ধৃতদের জেরা করে জানতে পারে পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধৃত দুই দুষ্কৃতী সাদ্দাম হোসেন ও মাজিরুল হক। ধৃত দুজনই মানিকচক ব্লকের ধরমপুর জিসারুলটোলার বাসিন্দা। বারবার অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বিহার সীমানায় নাকা চেকিং আরও বাড়ানোর কথা ভাবছে পুলিশ।

আরও পড়ুন-সভা বাতিলে মন ভাঙল মতুয়া সম্প্রদায়ের, দুদিনের মধ্যে রাজ্যে আসতে পারেন অমিত শাহ

কালিয়াচকের পর হরিশ্চন্দ্রপুরে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার জেরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। ভোটের আগে জেলায় অস্ত্র মজুত করতেই বিহার থেকে অস্ত্র আনা হয়েছিল বলে দাবি বিরোধীদের। বিজেপির জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া বলেন, আসন্ন নির্বাচনে সন্ত্রাস করেই তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোট জিততে চেয়েছিল।     মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট লুঠের চেষ্টা চলছে। প্রশাসনের ভূমিকায় আমরা উদ্বিগ্ন। প্রসঙ্গত, মালদহের গোবরাহাট এলাকায় বয়ে চলেছে ফুলহার নদী। নদীর ওপারেই প্রতিবেশী রাজ্য বিহার। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে গোপ পথে অস্ত্র মালদহে আনা হচ্ছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।